কলকাতা : হস্টেলে তালা বন্দি করে রাখা হয়েছে। এমনই অভিযোগ তুললেন নার্সিং পড়ুয়ারা। শুক্রবার তাঁদের মধ্যে এক পড়ুয়া আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন। বেলভিউ মেডিকেল কলেজের ওই পড়ুয়া হাত কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তাঁদের দাবি, অফলাইনে নার্সিং পরীক্ষা বাতিল করতে হবে। ছাত্রীরা জানিয়েছেন, তাঁরা যাতে বিক্ষোভ দেখাতে না পারেন, তার জন্য তাঁদের আটকে রাখা হয়েছে।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, আরজিকর, নীলরতন সরকার, গৌরী দেবী মেডিকেল কলেজ, আর এন টেগর কলেজ সহ রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে আন্দোলনরত ছাত্রীদের হস্টেল থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না, এমনকি সকাল থেকে কোনওরকম খাবারও দেওয়া হয়নি, এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। বেলভিউ মেডিক্যাল কলেজের ওই ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করে সম্পূর্ণ দায় চাপিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষের ওপর। তাঁদের দাবি, হস্টেল থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না, তাঁদের রুমের ইলেকট্রিসিটি কাটা হয়েছে এবং রীতিমতো ভয় দেখানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার থেকেই দফায় দফায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন নার্সিং ছাত্রীরা।
শুক্রবার সকালেও পূর্ত ভবনে নার্সিং কাউন্সিলের অফিসের বিক্ষোভ দেখান একদল ছাত্রী। স্বাস্থ্য দফতরে তাঁরা ডেপুটেশনও জমা দেন। বিএসসি নার্সিং ছাত্রীদের অভিযোগ, একটি অ্যাকাডেমিক সেশন চলছে। ৩ থেকে ৫ মাস আগে যা শুরু হয়েছিল। আগের শিক্ষাবর্ষের অফলাইনে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ছাত্রীদের।
বৃহস্পতিবার সল্টলেকে হেলথ ইউনিভার্সিটির এক্সামিনার কন্ট্রোলার স্মৃতি কনা মানিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান ছাত্রীরা। রাস্তার উপর বসে পড়েন কন্ট্রোলার। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, তিনি কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেননি, প্রকাশ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তিনি আরও বলেন, এই বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আলোচনা করছে, ছাত্রীরা ছোট, ওরা ওদের ভবিষ্যৎ বোঝে না। যদিও কলেজ পড়ুয়াদের দাবি, কন্ট্রোলার নিজেই পরীক্ষার নোটিস প্রকাশ করার কথা স্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন : BJP-TMC Clash: শুভেন্দুর প্রচারে বাধা, তুমুল উত্তেজনা, আহত হয়ে হাসপাতালে সুপ্রকাশ গিরি