কলকাতা: লোকসভা ভোটে এবার তিনি টিকিট পাননি। সাত দফার ভোটে প্রচার পর্বেও দেখা মেলেনি তৃণমূলের অন্যতম তারকা মুখ নুসরত জাহানের। লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে দারুণ সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল। এবার সামনে বিধানসভা উপনির্বাচন। তার আগে ফের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা মিলল বসিরহাটের প্রাক্তন সাংসদের। বৃহস্পতিবার সকালে মানিকতলার তৃণমূল প্রার্থী সুপ্তি পাণ্ডের হয়ে ভোটের প্রচারে নামলেন নুসরত। হুড খোলা গাড়িতে চেপে সুপ্তি পাণ্ডের সমর্থনে ভোটের প্রচার করলেন অভিনেত্রী তথা তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ।
লোকসভা ভোটে তৃণমূলের তারকা প্রচারকের তালিকায় নাম ছিল না নুসরতের। এবার চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও তারকা প্রচারক হিসেবে নেই তিনি। তারপরও আজ সুপ্তি পাণ্ডের সমর্থনে মানিকতলার ভোটের প্রচারে দেখা মিলল বসিরহাটের প্রাক্তন সাংসদের। সাধন-কন্যা শ্রেয়া পাণ্ডের সঙ্গে নুসরতের ব্যক্তিগত স্তরে সুসম্পর্কের কথা রাজনৈতিক মহলে কারও অজানা নয়। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিকভাবে ‘বানপ্রস্থে’ যেতে বসা নুসরতের তারকা প্রচারকের তালিকায় না থেকেও সাধন-জায়ার হয়ে ভোটের প্রচারে হঠাৎ দর্শন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির কারবারিরা।
সুপ্তির হয়ে ভোটের প্রচারে এসে নুসরত জাহান জানান, “রেসপন্স খুব ভাল। বাংলার মানুষ প্রথমত যেভাবে দিদিকে ভালবাসে, দিদি যেভাবে বাংলার মানুষকে আগলে রেখেছেন, তৃণমূল যেভাবে বাংলার মানুষের পাশে থেকেছে, তাতে এই রেসপন্স তো স্বাভাবিক। সুপ্তি আন্টি আমাকে ভীষণ স্নেহ করেন। তিনি প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর সমর্থনে এসেছি। খুব ভাল লাগছে। সাধন আঙ্কেল এত বছর এখানে এত ভালভাবে কাজ করেছেন। তাঁর প্রতিও মানুষের ইমোশন রয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে একদম পজিটিভ।”
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে তৃণমূলের থেকে টিকিট পাননি নুসরত। সেলেব মুখ হয়েও তারকা প্রচারকের তালিকায় ছিলেন না। এমন অবস্থায়, হঠাৎ করে মানিকতলার দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নুসরতের দর্শন মেলায় কি কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে শাসক শিবির? এমন প্রশ্নও ইতিমধ্যেই ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে।