নারদকাণ্ড: অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন ববি-সুব্রত-মদনরা, হাইকোর্টে যেতে পারে সিবিআই

গোটা ঘটনায় চার্জশিট পেশ হলেও কেন তাঁদের গ্রেফতার করা হল, সোমবার এই প্রশ্ন তুলে দেন খোদ বিচারক।

নারদকাণ্ড: অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন ববি-সুব্রত-মদনরা, হাইকোর্টে যেতে পারে সিবিআই
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: May 17, 2021 | 7:11 PM

কলকাতা: ব্যাঙ্কশাল কোর্টে শুনানি শুরু হওয়ার আগে থেকেই সম্ভাবনা ছিল। আশাও ছিল তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। সেই আশা সত্যি করে অন্তর্বর্তী জামিন পেয়ে গেলেন নারদকাণ্ডে সোমবার সকালেই গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের চার হেভিওয়েট রাজনীতিক। নারদ মামলায় এই বড় মাপের গ্রেফতারির জেরে গোটা রাজ্যে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। ব্যক্তিগত ৫০ হাজার টাকার বন্ডে এই জামিন মঞ্জুর হয়েছে। যদিও এই সিদ্ধান্তের পালটা হাইকোর্টে হাইকোর্টে আবেদন জানানো হবে বলে জানাচ্ছে সিবিআই সূত্র।

নারদ মামলা গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের দুই বর্তমান মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়, এবং প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের শুনানি চলে ব্যাঙ্কশাল আদালতে। তৃণমূলের নেতাদের হয়ে এ দিন আদালতে সওয়াল করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের এই মামলায় সোমবার সকালেই গ্রেফতার হন ফিরহাদ, সুব্রত, মদন ও শোভন। গোটা ঘটনায় চার্জশিট পেশ হলেও কেন তাঁদের গ্রেফতার করা হল, সোমবার এই প্রশ্ন তুলে দেন খোদ বিচারক।

ভার্চুয়ালি মামলা চলাকালীন সিবিআই-এর আইনজীবী চার নেতাকে জেল হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানান। পালটা সিবিআই আদালতের বিচারক অনুপম মুখোপাধ্যায় সিবিআই-এর কাছে জানতে চান, চার্জশিট যখন জমা পড়ে গিয়েছে তখন কেন গ্রেফতার করা হল? চার্জশিট তৈরি হয়ে গেলে এখন তো শুধু তো কেবল আদালতে বিচার বাকি থাকতে পারে। কিন্তু কিছু জেরা বাকি থাকতে পারে না। তাহলে কিসের ভিত্তিতে গ্রেফতার? এই ধারালো প্রশ্ন তোলা হয় আদালতের পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন: বিস্ফোরক সেই ফুটেজ প্রকাশ হওয়া থেকে সোমবার সকালের নাটকীয় গ্রেফতারি, একনজরে নারদ মামলার ইতিবৃত্ত

সিবিআই সূত্রে খবর, অলাইনে এই মামলায় ৪৮ পাতার চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। আদালতে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, বর্তমানে পুরো কলকাতার কোভিড পরিস্থিতি দেখছেন ফিরহাদ হাকিম। এই অবস্থায় ফিরহাদকে গ্রেফতার করা হলে পুরো কলকাতা অসহায় হয়ে পড়বে। এটা হতে পারে না। আদালতে তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, এক যাত্রায় পৃথক ফল কেন হল? মুকুল রায়-শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা হল না কেন? রাজ্যপালের উদ্দেশে তোপ তেগেই তৃণমূলের আইনজীবী দাবি করেন, রাজ্যপালের কোনও ক্ষমতা নেই গ্রেফতারির অনুমতি দেওয়ার। রাজ্য যা সুপারিশ করবে সেটাই তিনি অনুমোদন করতে পারেন। যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতা করার কোনও অভিযোগ নেই। তাহলে গ্রেফতার করা হল কেন? প্রশ্ন করেন কল্যাণ। একপ্রস্থ শুনানি শেষে ধোপে টিকতে পারেনি সিবিআই-এর যুক্তি। জামিন পেয়ে যান চারজনই।

আরও পড়ুন: ‘টাকা তো শুভেন্দুও নিয়েছিল!’ প্রশ্ন তুললেন নারদ স্টিং অপারেশনের কাণ্ডারী