কলকাতা: ঘড়ির কাঁটা এগোচ্ছে টিক টিক। ঠাকুর দালানে জ্বলছে মন কেমনের আলো। নবমী যা মনে করায় বিচ্ছেদের যন্ত্রণা। আবারও একটা বছর অপেক্ষার দিনগোনার পালা যেন আজ রাত থেকেই শুরু হয়ে যায়। নবরাত্রির নবম বা শেষ তিথি হল এই নবমী। এদিন দুর্গা পূজিতা হন সিদ্ধিদাত্রী রূপে। নবমীতে সিদ্ধাদাত্রী ঐশ্বরিক ও পার্থিক আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেন। অজ্ঞানতা দূর করে জ্ঞান দান করেন। পুজোর স্লগ ওভারে দিনের শুরু থেকে মেতে উঠেছে আম-বাঙালি। দিনভর ব্যাপক ভিড় দেখা গেল কলকাতা থেকে জেলা সর্বত্রই। ত্রিধারা থেকে চেতলা অগ্রণী, বেহালার বড়িশা ক্লাব থেকে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, কাশী বোস লেন, টালা প্রত্যয়, শেষবেলায় সর্বত্রই উপচে পড়ছে ভিড়।
এদিকে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস সত্যি করে এদিন দুপুরের পর থেকেই মুখ ভার আকাশের। কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। রাতেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে কিছু জায়গায়। দশমীতে বাড়বে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। যদিও সেসব তোয়াক্কা না করেই নবমীর সন্ধ্যা থেকেই মানুষের ঢল রাস্তায়। একজন তো বলেই দিলেন, বৃষ্টি হয় হোক। ভিজে ভিজেই ঠাকুর দেখব। দলবেঁধে রাস্তা নেমেছে ৮ থেকে ৯০ সকলেই। কেউ বেরিয়েছেন পরিবারের সঙ্গে, কেউ বেরিয়েছেন বন্ধুদের সঙ্গে।
এদিকে ভিড় সামাল দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছেন পুলিশ কর্মীরাও। নবমীর রাতে শহরে মোতায়েন রয়েছেন ৮ হাজার পুলিশ কর্মী। ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছেন ৬ হাজার পুলিশ কর্মী। একইসঙ্গে শহরে বসেছে ৫১টি ওয়াচ টাওয়ার। সেগুলি থেকেও চলছে নজরদারি।