Fraud Case: ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েবসাইটে প্রোফাইল খুলে প্রতারণা! মিথ্যা গল্পের ঝুলি সাজিয়ে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ

Ranjit Dhar | Edited By: Soumya Saha

Jun 17, 2023 | 3:32 PM

Fraudster arrested: একদিন ঝোপ বুঝে কোপ মারে পার্থপ্রতিম। মিথ্যা গল্প সাজায়। অনিশাকে ফোন করে বলে, পার্থর পরিবারের লোকেরা দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে কিছু টাকার প্রয়োজন। এই বলে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা চেয়ে নেয় অনিশার বাড়ি থেকে।

Fraud Case: ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েবসাইটে প্রোফাইল খুলে প্রতারণা! মিথ্যা গল্পের ঝুলি সাজিয়ে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ
Image Credit source: Twitter

Follow Us

কলকাতা: ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েবসাইটে চিকিৎসকের পরিচয় দিয়ে ঘনিষ্ঠতা। আর তারপর মিথ্যা গল্প ফেঁদে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ (Fraud Case)। অভিযোগের ভিত্তিতে এক যুবককে গ্রেফতার করল বিধাননগর সাইবার শাখার পুলিশ। ধৃতের নাম পার্থপ্রতিম নাথ। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানায়। অভিযুক্ত যুবকের থেকে তিনটি এটিএম কার্ড আর একটি মোবাইল পাওয়া গিয়েছে। এদিকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতারির পর পুলিশি জেরায় তার আরও কীর্তি উঠে এসেছে। যুবকের দুই স্ত্রী রয়েছেন। একজন নামখানায় থাকেন। আর অন্য স্ত্রী থাকেন ব্য়ারাকপুরে। পুলিশি জেরায় এমনই সব তথ্য উঠে এসেছে বলে খবর।

অভিযুক্ত ওই যুবক এই প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল অনেকদিন আগেই। একটি ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েবসাইটে নিজের প্রোফাইল খুলেছিল। নাম ছিল পার্থপ্রতিম নাথ। তবে পেশা উল্লেখ করা ছিল চিকিৎসক। নিজেকে হাওড়ার এক নামি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক বলে পরিচয় দিয়েছিল। আর সেই পরিচয় দিয়েই আলাপ জমিয়েছিল বাগুইআটির বাসিন্দা বছর চব্বিশের অনিশার সঙ্গে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে অনিশাকে ওই ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিল। তারপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিচিতি বাড়ে। ঘনিষ্ঠতা বাড়ে যুবতী ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে।

আর এরপরই একদিন ঝোপ বুঝে কোপ মারে পার্থপ্রতিম। মিথ্যা গল্প সাজায়। অনিশাকে ফোন করে বলে, পার্থর পরিবারের লোকেরা দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে কিছু টাকার প্রয়োজন। এই বলে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা চেয়ে নেয় অনিশার বাড়ি থেকে। আর এরপর থেকেই যুবকের সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না অনিশা বা তাঁর বাড়ির লোকেরা। সন্দেহ হওয়ায় একদিন হাওড়ার ওই বেসরকারি হাসপাতালেও পৌঁছে যান অনিশারা। কিন্তু খোঁজখবর নিতে জানতে পারেন, ওই নামে কোনও চিকিৎসক সেখানে নেই। তখনই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হয় তাঁদের কাছে।

গতবছরের ৫ নভেম্বর বিধাননগর সাইবার সেলে লিখিত অভিযোগ জানান ওই যুবতী। সেই অভিযোগের পর থানা থেকে নোটিসও পাঠানো হয়েছিল পার্থপ্রতিমকে। কিন্তু কোনও উত্তর আসেনি। এরপরই শুক্রবার নামখানা এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। সেই অভিযানেই পাকড়াও করা হয় অভিযুক্ত যুবককে।

 

Next Article