কলকাতা : লালন শেখের মৃত্যুর পর যখন কেন্দ্রীয় সংস্থার এবং বিজেপির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে শাসক শিবির, তখন বিতর্ক বাড়াল অভিযোগ পত্রে এক সিবিআই অফিসারের নাম। মঙ্গলবার সকালে সিবিআই-এর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন লালন শেখের স্ত্রী। সেখানে মোট তিনজন অফিসারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তার মধ্যেই এমন এক আধিকারিকের নাম রয়েছে, যাঁর সঙ্গে বগটুই-এর কোনও সম্পর্ক নেই বলেই অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। তবে বিরোধীদের এসব কথায় গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল।
লালনের স্ত্রীর যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন, তাঁরা হলেন সিবিআই-এর ডিআইজি, সিবিআই-এর এসপি ও সিবিআই অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য। এই তৃতীয় নাম নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী দাবি করেন, সুশান্ত ভট্টাচার্য বগটুই মামলার তদন্তকারী অফিসার নয়, তিনি গরু পাচার মামালার আইও, অর্থাৎ অনুব্রত মণ্ডলের মামলার তদন্তকারী আধিকারিক। আর সেখানেই সুজনের প্রশ্ন, কেষ্টর মামলার আধিকারিকের নাম কেন যুক্ত করা হল? তাঁর দাবি, আসলে এর পিছনে কারসাজি রয়েছে তৃণমূল নেতাদের। তিনি বলেন, ‘এর পিছনে তৃণমূলের ওপরের নেতাদের কোনও খেলা আছে নাকি? রহস্য ক্রমশই দানা বাঁধছে? খেলার পিছনে কি কোনও বড় খেলা? অনেক কিছু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা? প্রশ্ন উঠবেই।’ নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে সুজন মনে করিয়ে দিয়েছেন, অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল গ্রেফতার হওয়ার আগে তাঁর গাড়ি দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল, মৃত্যু হয় সায়গলের মেয়ের। অনুব্রতর যে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট আছে, সেই ব্যাঙ্কে আগুন লেগে যাওয়ার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
ওই অফিসারের নাম কেন সামনে আসছে, এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘এটা তৃণমূলের বিষয় নয়। যিনি অভিযোগ জানিয়েছেন, তাঁর যদি কোনও আশঙ্কা থাকে, ওই অফিসারকে নিয়ে যদি কোনও সন্দেহ হয়ে থাকে, তাহলে আমি কোনও মন্তব্য করব না।’