কলকাতা : কলকাতা হাই কোর্টে বিক্ষোভের মুখে পড়ার পর শুনানিতে সশরীরে হাজিরা দিলেন না পি চিদাম্বরম। ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানিতে অংশ নিলেন তিনি। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও ছিল সেই মামলার শুনানি। আদালতে না এলেও এ দিন ফের চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে তৃণমূল-ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীদের একাংশ। তাঁদের দাবি আইনজীবী হলেও তিনি কংগ্রেসের একজন বর্ষীয়ান নেতা, সে কথা ভুলে গেলে চলবে না। বৃহস্পতিবারও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিদাম্বরমকে ‘তৃণমূলের দালাল’ বলে কটাক্ষ করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
বর্তমানে হাইকোর্টের নিয়ম অনুযায়ী, বিশেষ কয়েকটি ক্ষেত্রে অথবা ৬৫ বছর বয়সের আইনজীবীরা ভার্চুয়াল মাধ্যমের জন্য লিঙ্কের আবেদন করতে পারেন। অনুমান করা হচ্ছে, সেই সুবিধাই নিয়েছেন চিদাম্বরম।
এ দিকে, মেট্রো ডায়েরি মামলায় শেয়ার বিক্রি সংক্রান্ত সমস্ত নথি এ দিন তলব করেছে হাইকোর্ট। আগামী ১৬ মে’র মধ্যে রাজ্যকে সব নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের। মামলাকারী অধীর রঞ্জন চৌধুরীর অভিযোগ, শেয়ার বিক্রিতে সম্পূর্ণ অস্বচ্ছতা রয়েছে। শেয়ার বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখলে সেটা আরও স্পষ্ট হবে। মামলায় এখনও পর্যন্ত একটি চিঠি ছাড়া কিছুই জমা দেয়নি রাজ্য সরকার। অধীর চৌধুরীর পক্ষে মামলা লড়ছেন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।
এই মামলায় মূল অভিযোগ হল, সংস্থার শেয়ার জলের দরে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুরের সংস্থা কেভেন্টার্সকে সস্তায় রাজ্য সরকারের ৪৩ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে, এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী। এত টাকা ক্ষতি করে কেন এ ভাবে সংস্থার শেয়ার বিক্রি করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেই মামলার শুনানি প্রায় শেষের পথে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হবে বলে আশা করেছিলেন অধীর চৌধুরী। আর সেই মামলাতেই রাজ্য সরকারের হয়ে সওয়াল করতে এসেছেন চিদাম্বরম। সেখানে কংগ্রেস-পন্থী আইনজীবীদের প্রশ্ন, কেন শাসক দলের হয়ে মামলা লড়বেন চিদাম্বরম? এতে কংগ্রেস কর্মীদের ভাবাবেগে আঘাত করা হচ্ছে।