Manik Bhattacharya: ‘অভিযোগ করার স্বাধীনতা আছে, প্রমাণ করার…’ জামিনে মুক্ত হতেই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ‘আক্ষেপ’ মানিকের
Manik Bhattacharya: ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর গ্রেফতার হন তৃণমূলের এই বিধায়ক। অবশেষে গত সপ্তাহের শেষে জামিনে মুক্ত হয়েছেন মানিক। দলের কর্মী জাহেদুল শেখ মারা গিয়েছিলেন। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে শনিবার সেই বাড়িতেই ছুটে যান মানিক।
কলকাতা: বিধানসভার সাব অর্ডিনেট লেজিসনেশন কমিটি এবং উচ্চ শিক্ষা কমিটিতে রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। কিন্তু জেলে থাকার ফলে কি সেই কমিটিতে আদৌ নাম আছে তাঁর। না কি কেটে গিয়েছে? দীর্ঘ সময় পরে মঙ্গলবার বিধানসভায় দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের থেকে জানতে চান পলাশিপাড়ার বিধায়ক।
সূত্রের খবর, জেলে থাকলেও বিধানসভার সদস্য থাকায় কোনও কমিটি থেকেই বাদ যায়নি তাঁর নাম। তবে কমিটি বৈঠকের জন্য নির্ধারিত ভাতা অবশ্য পাননি মানিক। আগামী সপ্তাহ থেকেই বিধানসভার কমিটি বৈঠকে যোগ দেবেন তৃণমূলের এই বিধায়ক। একইসঙ্গে মঙ্গলবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মানিক।
এই খবরটিও পড়ুন
২০২২ সালের ১১ অক্টোবর গ্রেফতার হন তৃণমূলের এই বিধায়ক। অবশেষে গত সপ্তাহের শেষে জামিনে মুক্ত হয়েছেন মানিক। দলের কর্মী জাহেদুল শেখ মারা গিয়েছিলেন। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে শনিবার সেই বাড়িতেই ছুটে যান মানিক। সেই দিন পলাশিপাড়ায় দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে সময় কাটান। নানা বিষয়ে কথা বলেন। প্রায় দু’বছরের ব্যবধানে এলেন বিধানসভাতেও। সেখানেও বিভিন্ন আলাপচারিতায় মাঝে বারবার মানিকের গলায় আক্ষেপ ধরা পড়ল ইডি ভূমিকা নিয়ে। সূত্রের খবর, সেখানেও বেশ কিছু তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন মানিক। খানিক আক্ষেপের সুরেই নাকি বলেছেন, “অভিযোগ করার স্বাধীনতা আছে। প্রমাণ করার দায় নেই।” প্রসঙ্গত, গত ১২ সেপ্টেম্বর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টে জামিন পান মানিক। তবে জামিনে মুক্ত হলেও চার শর্ত মেনে চলতে হয় তাঁকে। হাইকোর্টের নির্দেশে জমা রাখতে হচ্ছে পাসপোর্ট। তদন্তে সবরকম সহযোগিতাও করতে হবে। প্রয়োজনে ট্রায়াল কোর্টে দিতে হবে হাজিরা। একইসঙ্গে তাঁর গতিবিধির ক্ষেত্রেও থাকছে কিছু বাধ্য-বাধ্যকতা।