কলকাতা: অভিনেত্রী পল্লবী দে’র মৃত্যুরহস্য ঘিরে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। পল্লবীর পরিবারের একাধিক দাবি এই মুহূর্তে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। পরিবার আগেই জানিয়েছিল পল্লবী আত্মহত্যা করতে পারেন না। তাঁকে খুনের সম্ভাবনা জোরাল বলেই দাবি করেছিলেন পল্লবীর বাবা। আর অভিনেত্রীর পরিবারের সন্দেহের তালিকায় নামও রয়েছে প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তীর। এবার পরিবারের দাবি, পল্লবীকে মারধর করতেন সাগ্নিক। এমনকী সাগ্নিক অন্য একজনের সঙ্গে রেজিস্ট্রিও করেছিলেন বলে অভিযোগ তুলছেন পল্লবীর বাড়ির লোক। পরিবারের বক্তব্য, এই রেজিস্ট্রির বিষয়টি পল্লবীকে না জানিয়েই লিভ-ইন সম্পর্কে যান সাগ্নিক। এমনকী পল্লবী না থাকলে সেই সুযোগে অন্য এক মেয়েকে নিয়ে ফ্ল্যাটেও যেতেন সাগ্নিক। যদিও এই সমস্ত বিষয় তদন্ত সাপেক্ষ। সাগ্নিককে আটক করেছে গড়ফা থানার পুলিশ। তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন তদন্তকারীরা। এই মুহূর্তে সাগ্নিকের বয়ান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ঘটনায়। একইসঙ্গে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে নতুন কোনও দরজা খোলে কি না তাও নজরে।
পল্লবীর বাবার কথায়, “মাস ছয়েক আগে আমরা জানতে পারি সাগ্নিকের রেজিস্ট্রি করে একটা বিয়ে করেছে। সেটা সাগ্নিকের মা জানেন। ওই বাড়িতে সেই মেয়ের যাতায়াতও ছিল। অথচ আমার মেয়েকে পুরোটাই লুকিয়ে যায়। মেয়ে জানতে পারার পর আমরা সাগ্নিকের সঙ্গে কথা বলি। সাগ্নিক বলেছিল, ডিভোর্স ফাইল করেছি। বিচ্ছেদ হয়ে যাবে।”
অন্যদিকে সাগ্নিকের মায়ের বক্তব্য, “এই লিভ-ইন ব্যাপারটা আমরা একেবারেই পছন্দ করতাম না। সম্পর্ক আছে, প্রেম করছ ঠিক আছে। কিন্তু এভাবে থাকাটা আমাদের পছন্দ ছিল না। তবে মেয়ের বাড়ি থেকে সম্পূর্ণ সমর্থন ছিল এই লিভ-ইনে। এই ফ্ল্যাটও ওরাই পছন্দ করে দিয়েছেন। পল্লবীর বাড়ি থেকে মা, বাবা, ভাই, বোন সকলে ওখানে যাতায়াত করতেন। পরিবারের মতো করেই থাকতেন। কিন্তু এই ঘটনাটা কেন হল বুঝলাম না। এখানে এসে সাগ্নিককে কিছু জিজ্ঞাসাও করতে পারছি না। ও ইতিমধ্যেই পুলিশ হেফাজতে চলে গিয়েছে।”
এখনও অবধি কী কী তথ্য উঠে আসছে-
পল্লবীর বাবা বলছেন, সাগ্নিক গত কয়েকদিন ধরে তাঁর মেয়েকে মারধর করতেন। পল্লবীর গায়ে আঘাতের চিহ্ন পর্যন্ত দেখেছেন সহকর্মীরা, সে কথাও বাবা জানতে পেরেছেন বলেই সূত্রের দাবি।
পল্লবীর বাবার অভিযোগ, সাগ্নিক আইনিমতে বিবাহিত। বিয়ের কথা লুকিয়েই পল্লবীর সঙ্গে প্রেম, একসঙ্গে থাকা। এ নিয়ে মেয়ের সঙ্গে একটা ঝামেলা থেকেই গিয়েছিল বলে অভিযোগ পরিবারের।
অভিযোগ, পল্লবী অভিনয়ের জন্য যখন বাইরে যেতেন, সেই সময় পল্লবীরই এক বান্ধবী আসতেন গড়ফার গাঙ্গুলিপুকুরের এই ফ্ল্যাটে। সাগ্নিকের সঙ্গে সেই বান্ধবীর মেলামেশা মোটেই ভালভাবে নিতেন না পল্লবী। এই নিয়েও দু’জনের মধ্যে ঝামেলা হত বলেই পল্লবীর বাবারই দাবি।