কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Team) দাবি নিয়ে আদালতের দারস্থ সাংসদ। মামলা করতে কলকাতা হাইকোর্টে যান কংগ্রেস সংসদ আবু হাসেন খান চৌধুরী (Abu hasan khan chowdhury)। অন লাইনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সুবিধা-সহ ছয় দফায় নির্বাচন করার আবেদন জানাবেন তিনি। মনোনয়ন জমার দিন থেকে যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকে, তারও আবেদন জানাবেন তিনি। সঙ্গে প্রার্থীদের নিরাপত্তা। প্রধান বিচারপতির এজলাসে আগামী সপ্তাহে শুনানির সম্ভবনা রয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা করেনি কমিশন (Election Commission)। তবে তার আগে থেকেই নির্বাচনে অশান্তির আশঙ্কা করছেন বিরোধীরা। তাই আগে থেকেই আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন তাঁরা। রাজ্য পুলিশ নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতেই পঞ্চায়েত ভোট করানোর দাবি তুলেছে গত ডিসেম্বর মাসেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। অবাধ, শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠু পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবিতে আদালতে দায়ের করেছেন জনস্বার্থ মামলা। কেবল কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতেই নয়, পঞ্চায়েত ভোট প্রসঙ্গে এক গুচ্ছ দাবির উল্লেখ করেছেন তিনি।
গত বারের পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল ২০১৮ সালে। তার আগে ২০১৩ সালে। ২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতেই পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল। ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি ছাড়াই পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল। সেবার যথেষ্ট হিংসা, বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধীরা। ভোট লুঠ, রিগিং, মনোনয়নপত্র জমা না দিতে পারা, বুথ দখল, প্রার্থী তুলে নেওয়ার হুমকি, প্রচারে বাধা সংক্রান্ত শয়ে শয়ে অভিযোগ জমা পড়েছিল কমিশনের কাছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে অশান্তির দায় কিছুটা স্বীকারও করে নিয়েছিল কমিশন। ভোটে ‘হিংসা’র প্রসঙ্গ টেনে এনে শুভেন্দু কলকাতা হাইকোর্টে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে দ্বারস্থ হয়েছেন।
কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নজরদারিতে পঞ্চায়েত ভোট করানোর আর্জি জানিয়েছেন তিনি। এদিন আবু হাসেন খান চৌধুরী তাঁর আবেদনপত্রে ৬ দফায় ভোটগ্রহণের পাশাপাশি অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া, সব বুথে ভিডিয়োগ্রাফি করানোর দাবি তুলেছেন তিনি।