Panic Buttons in Cars : ৩১ মার্চের মধ্যে গাড়িতে বসাতে হবে ‘বিপদ ঘণ্টি’, অন্যথায় জরিমানা

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Jan 08, 2023 | 1:05 PM

Panic Buttons in Cars : দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের পরেই এই ধরনের ডিভাইসের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। বাধ্যতামূলক করার ব্যাপারে শুরু হয়েছিল চিন্তাভাবনা।

Panic Buttons in Cars : ৩১ মার্চের মধ্যে গাড়িতে বসাতে হবে ‘বিপদ ঘণ্টি’, অন্যথায় জরিমানা
কলকাতা পুলিশ (ফাইল ছবি)

Follow Us

কলকাতা : দিল্লির নির্ভয়ার (Nirbhaya Incident in Delhi) কথা মনে পড়ে? রাজধানীর রাজপথে কী অসহায় পরিস্থিতির মধ্যে তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিল! নির্জন রাস্তায় তাঁর আর্তনাদ শোনার মতোও কেউ ছিল না। কিন্তু, যদি ওই বাসে থাকত এমন কোনও প্রযুক্তি যা বিপদ বার্তা পৌঁছে দিত পারত পুলিশের কাছে! তাহলে হয়তো সামগ্রিক ছবিটাই বদলে যেত। এবার বাস্তবেই হাজির বিপদ ঘণ্টি। দিল্লি নয়, কলকাতায়। শহর কলকাতা তো বটেই, গোটা রাজ্যেই সমস্ত ধরনের যাত্রীবাহী যানবাহনে বসাতে হবে ভেহিকেল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস (Vehicle location tracking device)। যাত্রী সুরক্ষা ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে গত নভেম্বর মাসে রাজ্য পরিবহণ দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। 

গাড়িতে ভিএলটিডি বসানোর জন্য গাড়ির মালিকদের জন্য ৩১ মার্চের চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। যে গাড়ির গাড়ির মালিক ফিটনেস সার্টিফিকেটের জন্য এখন মোটর ভেহিকেলসের দফতরে যাচ্ছেন তাঁদের সকলকেই দিতে হচ্ছে এই সংক্রান্ত ডিক্লারেশন। তবেই মিলছে ফিটনেস সার্টিফিকেট। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ভিএলটিডি বসানো না হলে জরিমানাও করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এমনকী এই কাজ না করলে যাত্রীবাহী গাড়িগুলিকে দেওয়া হবে না ফিটনেস সার্টিফিকেট। 

ভেহিকেল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস কী? 

দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের পরেই এই ধরনের ডিভাইসের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। বাধ্যতামূলক করার ব্যাপারে শুরু হয়েছিল চিন্তাভাবনা। ডিভাইস প্রস্তুতকারক সংস্থার কর্ণধার যশ খাঁড়া বলেন, “সাধারণ নাগরিকদের জন্য গাড়ির মধ্যে বর্তমানে কোনও সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই। সে কারণেই হয়তো নির্ভয়াকে বাঁচাতে পারিনি আমরা। তখনই সরকার ঠিক করে এমন একটা ডিভাইস আনতে হবে যাতে এ ধরনের ঘটনা আটকানো যায়। বিপদে পরলে পুলিশ-প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে রক্ষা পেতে পারে যাত্রী।ভেহিকেল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস।” যে সমস্ত গাড়িতে ইতিমধ্যেই এই ভিএলটিডি লাগানো হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে গাড়ির একদম সামনের অংশে থাকছে মূল ডিভাইস। ঠিক তার পাশে স্টিয়ারিংয়ের কাছে রয়েছে প্যানিক বাটন। শুধুমাত্র যে চালকের আসনের পাশে এই প্যানিক বাটন থাকবে তা নয়। গাড়ির ভিতরেও আরও একাধিক জায়গায় থাকছে এই প্যানিক বাটন। যে কোনও ধরনের প্রয়োজনে, বা বিপদে পড়লে চালক ও গাড়ির মধ্যে থাকা যাত্রীরা সকলেই এই বাটন প্রেস করতে পারবেন। গাড়িতে বসানোর পর তার নিয়ন্ত্রণ থাকবে রাজ্য পরিবহণ দফতরের হাতে। যাত্রীবাহী কোন গাড়ি কোথায় আছে, কোথায় যাচ্ছে, কত স্পিডে যাচ্ছে, প্রতি মুহূর্তে জানা যাবে সবটাই। এমনকী ভিএলটিডি যন্ত্র কেউ নষ্ট করার চেষ্টা করলেও সেই বার্তা চলে যাবে কন্ট্রোল রুমের কাছে। 

Next Article