কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীরও। তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। সেই মামলার তদন্তে ফের একবার তলব করা হল তৃণমূল বিধায়ক পরেশ অধিকারীকে। শুক্রবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে পৌঁছেছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন তাঁর মেয়ে অঙ্কিতাও। পরেশ অধিকারীকে আগেও একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন গোয়েন্দারা, তবে এই প্রথমবার তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে চলেছেন অঙ্কিতা।
মেখলিগঞ্জ বিধায়ক পরেশ অধিকারীকে এর আগে মে মাসে চারদিন জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তাঁকে তলব করল ইডি। শুক্রবার সকাল ১১ টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে প্রবেশ করতে দেখা যায় পরেশ ও অঙ্কিতাকে। বেআইনিভাবে নিয়োগের অভিযোগে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যেই স্কুলের শিক্ষিকার চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে অঙ্কিতাকে। তবে এর আগে অঙ্কিতাকে গোয়েন্দাদের মুখোমুখি হতে হয়নি।
কম নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও মেধাতালিকায় ওপরের দিকে নাম উঠে এসেছিল প্রাক্তন মন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতার। তা নিয়েই হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন ববিতা সরকার। অঙ্কিতার নাম তালিকায় ওপরে যাওয়া চাকরি হয়নি ববিতার। সেই মামলায় অঙ্কিতাকে বরখাস্ত করে ববিতাকে নিয়োগ করার নির্দেশ দেয় আদালত। বর্তমানে সেই স্কুলেই শিক্ষকতা করছেন ববিতা।
তবে অঙ্কিতার নিয়োগ কীভাবে হল, কারা এর পিছনে ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। সেই প্রশ্নের উত্তর সামনে এলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সুবিধা হতে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। সেই কারণেই বারবার পরেশ অধিকারীকে তলব করা হচ্ছে।
গত ৭ নভেম্বর, সোমবারও ইডি অফিসে ঘণ্টা পাঁচেক ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তৃণমূল বিধায়ক পরেশকে। অঙ্কিতার চাকরির পিছনে পরেশের কী ভূমিকা ছিল? পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরেশের যোগ কতটা ছিল? মেধাতালিকায় পরিবর্তন করে অঙ্কিতার নাম এগিয়ে আনার ক্ষেত্রে তৎকালীন এসএসসি-র উপদেষ্টা কমিটির কী ভূমিকা ছিল? শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী হিসেবে, তিনি নিজে বিষয়টা জানতেন কি না, এ সব বিষয়েই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর।