কলকাতা: হরিদেবপুরের একটি মিশনারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেখানে সাধারণত সেই ঘরের বাচ্চাগুলোই থাকে, যাদের বাবা-মা নেই, পরিজন থাকলেও দেখার লোক নেই। ওই প্রতিষ্ঠানে তাদের দেখার লোক কেবল শিক্ষক-শিক্ষিকারাই। আর সেখানকার প্রধান ব্রাদার। কিন্তু সেই ব্রাদারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ। ওই ব্রাদারই নাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতরেই যৌন সংসর্গে লিপ্ত হয়েছেন, অভিযোগ তেমনই। এক শিক্ষিকার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে হরিদেবপুরের মিশনারির ব্রাদারকে। ছবি তুলে ব্ল্যাকমেলের পাল্টা অভিযোগে গ্রেফতার প্রতিষ্ঠানের দুই মহিলা কর্মীও।
ওই মিশনারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে সরগরম হরিদেবপুর। অভিযোগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতরেই একাধিক মহিলার সঙ্গে যৌন সংসর্গে লিপ্ত হন ব্রাদার। হরিদেবপুর থানা ও লালবাজারে অভিযোগ দায়ের পরই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত ব্রাদারকে।
জানা গিয়েছে, হরিদেবপুরের এই প্রতিষ্ঠানে গরিব ঘরের ছেলেমেয়েরা থাকেন। কারও মা নেই, কারও বাবা নেই। পড়াশোনার পাশাপাশি কম্পিউটার, সেলাইয়ের কাজ শেখানো হয় এই প্রতিষ্ঠানে। সেলাইয়ের এক শিক্ষিকার অভিযোগ, ব্রাদার প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নষ্ট করছেন। ২০১৫ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই ব্রাদার বিভিন্ন শিক্ষিকার সঙ্গে যৌন সংসর্গে লিপ্ত হচ্ছেন।
অভিযোগকারী শিক্ষিকার বক্তব্য, “২০১৫ সালেই এক শিক্ষিকার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। আমাদের হস্টেলের মেয়েরা জানতে পেরে প্রতিবাদ করল। ওঁ মিটিংয়ে ডেকে ওই মেয়েটাকে সাসপেন্ড করে দিলেন। ওই মেয়েটা খুবই গরিব ছিল। বাড়ি যেতে চাইছিল না। বাড়ির লোক, পাড়ার লোক অত্যাচার করত। বিকেল পাঁচটায় ওই মেয়েটাকে সাসপেন্ড করে দিয়েছিল। ৯টার মধ্যে ওই এখানেই আত্মহত্যা করে।”
অভিযোগকারীর দাবি, ইদানীং আরও এক শিক্ষিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ধরা পড়েন ব্রাদার। সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ করেন ওই শিক্ষিকা। দ্বারস্থ হন পুলিশের। তার পরই ব্রাদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এক্ষেত্রে মিশনারি কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।