Partha-Arpita: রাত বাড়লে অফিসের সামনে দাঁড়াত অর্পিতার কালো ফরচুনার, কী থাকত ‘অপা’র নৈশভোজের মেনুতে?

Partha-Arpita: সূত্রের খবর, কখনও সিঙ্গুর, কখনও ডায়মণ্ড হারবার ছুটে যেত পার্থ-অর্পিতার গাড়ি। সেখানেই নৈশভোজ সারতেন তাঁরা।

Partha-Arpita: রাত বাড়লে অফিসের সামনে দাঁড়াত অর্পিতার কালো ফরচুনার, কী থাকত 'অপা'র নৈশভোজের মেনুতে?
রাতে বেরিয়ে পড়তেন পার্থ-অর্পিতা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 02, 2022 | 8:58 PM

কলকাতা : বয়সের ফারাক অনেকটাই। একজন হেভিওয়েট, অন্যজন স্বল্প পরিচিত। গত ২২ জুলাই রাত থেকে যে বিষয়ে সবথেকে বেশি কৌতূহলী সাধারণ মানুষ, তা হল পার্থ-অর্পিতার সম্পর্ক। সত্যিই কি বন্ধুত্ব ছিল? থাকলেও তার গভীরতা ঠিক কতটা? শুধুই কি টাকা আর সম্পত্তির শুকনো হিসেব? নাকি অতটাও শুষ্ক ছিল না ‘অপা’র জীবন? ঘনিষ্ঠ মহলে কান পাতলে যা শোনা যায়, তা থেকে কিছুটা আন্দাজ করা যায় পার্থ-অর্পিতার রসায়ন।

প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে খাদ্যরসিক ছিলেন, এ কথা অনেকেরই জানা। এমনকি ইডি হেফাজতেও খাবার নিয়ে নাক সিঁটকোচ্ছেন তিনি। জানা যায়, অর্পিতাকে সঙ্গে নিয়ে পছন্দের খাবার খেতে শহর থেকে দূরেও যেতেন মাঝে মধ্যে।

যাঁদের সঙ্গে পার্থর ঘনিষ্ঠতা ছিল, তাঁরা বলছেন অর্পিতার সঙ্গে মাসে অন্তত দিন ২০ দেখা হত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। কখনও তিনি যেতেন প্রাক্তন মন্ত্রীর নাকতলার বাড়িতে, আবার কখনও পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজেই চলে যেতেন ডায়মন্ড সিটি সাউথে অর্পিতার আবাসনে।

তবে বেশির ভাগ দিনই গাড়ি নিয়ে পার্থর বেহালার অফিসে পৌঁছে যেতেন অর্পিতা। রাত বাড়লেই তাঁর ম্যান্টনের অফিসের সামনে গিয়ে দাঁড়াত কালো ফরচুনার গাড়ি। ‘দিদি’ এসেছেন বলে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন অনেকেই। কাজ শেষ করে সেই গাড়িতে চেপেই বেরতেন পার্থ। কখনও গাড়ি ছুটত দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে। গন্তব্য? সিঙ্গুরের নবান্ন হোটেল। ‘মন্ত্রী’ ও ‘ম্যাডামে’র পছন্দের খাবার সেখানকার কর্মীদের মুখস্ত ছিল। তাঁরা বসলেই টেবিলে চলে আসত রুটি, ফিস তন্দুরি, চিকেন ভর্তা। আবার কখনও তাঁরা যেতেন কোলাঘাটের শের-ই-পঞ্জাবে।

ডানকুনি লুধিয়ানা ধাবা, ডায়মন্ড হারবারের দেবুর হোটেলেও মাঝে মধ্যেই নাকি নৈশভোজ সারতেন পার্থ-অর্পিতা। নিউটাউন ও গড়িয়ার একাধিক ধাবাতেও তাঁদের দেখা যেত বলে সূত্রের খবর। তবে শনিবার ছুঁতেন না আমিষ। সাধারণত সে দিনের গন্তব্য হত ভবানীপুরের বলবন্ত সিং ধাবা। খাবার পর মেনুতে থাকত বিশেষ জাফর চা।

পার্থ-র ঘনিষ্ঠদের থেকে জানা যায়, গরম সিঙ্গাড়া আর জিলিপি খেতেও ভালবাসতেন পার্থ। একসঙ্গে একাধিক সিঙ্গাড়া তাঁকে খেতে দেখেছেন অনেকেই। আর সম্প্রতি ইডির দফতরে তাঁকে যে ফল, রুটি দেওয়া হয়েছিল, তা মুখে রোচেনি বলেই ভাতের আব্দার করেছিলেন তিনি। ইডি সূত্রে খবর, সেখানেও তাঁকে বুঝিয়ে শান্ত করেছেন ‘ম্যাডাম’ অর্পিতাই।