কলকাতা: বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) আহত হয়েছেন নন্দীগ্রামে (Nandigram)। ঠিক কিভাবে ঘটল এই ঘটনা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। আঘাত লাগার পর মমতা নিজেই বলেছেন, কেউ বা কারা তাঁকে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। বিজেপিও এনেছে পাল্টা অভিযোগ। এরই মধ্যে কমিশনে গিয়ে নালিশ জানিয়ে এল তৃণমূল (TMC)। কমিশন থেকে বেরিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) অভিযোগ জানিয়ে বলেন, আগে থেকেই এই ঘটনার পূর্বাভাস ছিল।
বৃহস্পতিবার কমিশনের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিন জনের প্রতিনিধি দলে ছিলেন ডেরেক ও ব্রায়েন ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বুধবারের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ জানায় এই প্রতিনিধি দল। কমিশন থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন পার্থ। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর উপর যে আঘাত হানা হবে, তার পূর্বাভাস ছিল।” তাঁর দাবি, বিজেপি সাংসদদের পোস্টে ও বক্তব্য থেকেই বোঝা যাচ্ছিল যে এরকম কিছু ঘটবে। মুখ্যমন্ত্রীর যথেষ্ট নিরাপত্তা ছিল না বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
রাজ্যের ডিজিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সরানোর অভিযোগ আগেও এনেছিলেন পার্থ। এ দিনও তিনি ফের বলেন, “পুলিশ প্রশাসনকে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত করার প্রচেষ্টা চলছে।” তিনি আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর শাসনে রাজ্যে শান্তি কায়েম ছিল।” কেন কমিশনের নিয়ন্ত্রণের পর থেকেই ভয়-সন্ত্রাসের আবহ তৈরি হয়েছে, তা নিয়েই কমিশনে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। পুলিশকে ভয় দেখানো হচ্ছে ও নিষ্ক্রিয় করে রাখা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন পার্থ।
আরও পড়ুন: গুরুতর আঘাত, ফুলে গিয়েছে পা, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ৪৮ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর নন্দীগ্রামে ঠিক কী ঘটেছিল, তার তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিজেপিও। এ দিন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে যাচ্ছে বিজেপি প্রতিনিধি দল। বুধবার নন্দীগ্রামে বিরুলিয়ার মন্দিরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেলে সেখান থেকে বেরনোর সময়েই পায়ে আঘাত লাগে তাঁর। অসুস্থ মমতাকে কোলপাঁজা করে নিয়ে যাওয়া হয় গাড়ির পিছনের সিটে। সেখান থেকে গ্রিন করিডর করে সোজা SSKM-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে আসে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিকিৎসায় তৈরি হয়েছে ৮ সদস্যের মেডিক্যাল টিম।