কলকাতা: জামিনের জন্য কাতর আবেদন করেই চলেছেন। কিন্তু, চিঁড়ে ভিজছে না কিছুতেই। এদিন দীর্ঘ শুনানির পরেও মিলল না জামিন। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় খারিজই হয়ে গেল পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন। ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের। এখন পরবর্তী শুনানিতে কী হয় সেটাই দেখার।
প্রসঙ্গত, পার্থর জামিন মামলার জল গড়িয়েছলি দেশের শীর্ষ আদালতেও। কিন্তু, সেখানেও কার্যত ‘তিরস্কারের’ মুখে পড়তে হয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। পার্থর মতো ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ ব্যক্তিকে জামিন দিলে সমাজে কী প্রভাব পড়বে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় খোদ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিকেও। এবার যেন সেই ছবি ফিরেছে নিম্ন আদালতেও। সেখানে আবার এজলাস পরিবর্তনেরও দাবি জানিয়েছিলেন পার্থর আইনজীবী। তাঁকেও শেষ পর্যন্ত ভৎর্সনার মুখে পড়তে হয়।
যদিও পার্থকে নির্দোষ প্রমাণে দিনভর কার্যত মরিয়া দেখায় তাঁকে। তাঁর দাবি, তাঁর মক্কেল কোনও ভাবে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন। যদিও সিবিআইয়ের দাবি, এজেন্ট মারফৎ টাকা তুলে ৭৫২ জন অযোগ্য চাকরি প্রার্থীর তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল। ৩১০ জন অযোগ্যের চাকরি নিশ্চিতও করা হয়েছিল। সিবিআইয়ের অভিযোগ এই তালিকা পাঠিয়েছিলেন পার্থ নিজেই। যদিও তারপরেও থামেনি পার্থর কাতর আর্জি। বারবার বলতে থাকেন, “আমাকে জামিন দিন। আমি কিছুই করিনি। যা করেছে বোর্ড করেছে। আমাকে বাঁচান।” কিন্তু, আপাতত আদালতের নির্দেশে ১৬ তারিখ পর্যন্ত হেল হেফাজতেই থাকছেন তিনি।