কলকাতা: বিনয় মিশ্রর পর এবার তাঁর ভাই বিকাশ মিশ্রকে নোটিস পাঠাল সিবিআই। কয়লা ও গরু পাচারকাণ্ডে আগামী ১৫ ও ১৬ জানুয়ারি তাঁকে নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছে। বিনয়ের উপর চাপ বাড়াতেই তদন্তকারীদের এই কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে বুধবার সকাল থেকেই আবার আসানসোল, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া-সহ সাত জায়গায় অভিযান শুরু করেছে সিবিআই। মূলত লালা-ঘনিষ্ঠদের ঠিকানায় এদিন হানা দিচ্ছেন তদন্তকারীরা। ৭৫ জন আধিকারিকের একটি দল অভিযানে নেমেছে।
এদিন সকাল থেকে জামুরিয়া, রানিগঞ্জ, আসানসোলে অবৈধ কয়লা কারবারিদের বাড়িতে ও অফিসে অভিযান শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। রীতিমতো সিআরপিএফ নিয়ে চলছে ছানবিন। রানিগঞ্জের নারায়ণ নন্দা ওরফে নারায়ণ খড়্গের বাড়িতে সকালেই পৌঁছয় সিবিআইয়ের একটি দল। বাড়ির বাইরে সিআরপিএফ মোতায়েন করে শুরু করে অভিযান। একইভাবে বক্তা নগরে জনৈক জয়দেব ও আসানসোল বাজার এলাকায় জনৈক সুজিত নামে দুই ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চলছে। সূত্রের খবর, এঁরা প্রত্যেকেই লালা ঘনিষ্ঠ। সিবিআইয়ের কাছে খবর, অন্য ব্যবসার আড়ালে অবৈধ কয়লা কারবারের সঙ্গে যুক্ত তাঁরা।
গত কয়েকদিনে কয়লা পাচারকাণ্ডে রাজ্যে বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। একইসঙ্গে সম্প্রতি ইডির একটি দলও অভিযান চালায়। তদন্তকারীদের হাতে ইতিমধ্যেই চক্রীদের একটি বড় তালিকা পৌঁছেছে। সূত্রের খবর, শুধু প্রভাবশালীদের একাংশেরই নয়, পুলিস আধিকারিক, ইসিএল কর্মীদেরও একাধিক নাম রয়েছে সেখানে। আর সেই নামগুলি কোনও না কোনও ভাবে জড়িয়ে রয়েছে এই কাণ্ডের মূল চাঁই অনুপ মাজি ওরফে লালার সঙ্গে। ঠিক যেমন নাম জড়িয়েছে প্রভাবশালী বিনয় মিশ্রর।
সিবিআইয়ের প্রাথমিক ধারনা, গত কয়েক বছরে কয়েকশো কোটি টাকার কয়লা চুরি হয়েছে রাজ্যের খনি অঞ্চল থেকে। একইসঙ্গে তারা নিশ্চিত, এই জাল বহু দূর অবধি ছড়ানো। তদন্তে গতি আনতে রাজ্যের খনি অঞ্চলগুলিতে রীতিমতো ক্যাম্প গড়ে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। গোয়েন্দাদের বিশেষ দল নিয়মিত নজর রাখছে আসানসোল, দুর্গাপুর, রানিগঞ্জের খনিগুলিতে।