Patharpratima: ‘সচেতনতার অভাব, পুলিশের পক্ষে সব সময় নজর রাখা সম্ভব নয়’, পাথরপ্রতিমা বিস্ফোরণে বললেন এডিজি

সুজয় পাল | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Apr 01, 2025 | 5:02 PM

Patharpratima: বাজি স্টোরেজ যাতে লোকালয়ের মধ্যে না হয়, সেই ব্যাপারে বাজি প্রস্তুতকারক সংস্থাদের সঙ্গে শীঘ্রই প্রশাসন বৈঠক করবে বলে জানিয়েছেন এডিজি। পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, ২০২২ সালে চন্দ্রকান্ত বণিককে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

Patharpratima: সচেতনতার অভাব, পুলিশের পক্ষে সব সময় নজর রাখা সম্ভব নয়, পাথরপ্রতিমা বিস্ফোরণে বললেন এডিজি
ঢোলাহাটের বিস্ফোরণ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে ADG
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: পাথরপ্রতিমায় বিস্ফোরণের ঘটনায় সচেতনতার অভাবকেই দায়ী করলেন এডিজি সুপ্রতীম সরকার। ভবানীভবনে বৈঠকে সাংবাদিক বৈঠকে  পুলিশ কর্তা দাবি করলেন, বাড়িতে দাহ্য পদার্থ মজুত রেখে, সেখানেই আবার রান্নাবান্নার কাজ করলে, গ্যাস জ্বালালে এই ধরনের ঘটনা ঘটবেই। নিতান্তই সচেতনতার অভাবেই এই ধরনের ঘটনা।

এডিজি বলেন, “বাজির ব্যবসার ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে, এর সঙ্গে প্রচুর মানুষের জীবন জড়িত থাকে। জীবিকা নির্বাহের ব্যবহার। কিন্তু কোথাও সচেতনতার অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমি যদি বাড়িতে পেট্রল মজুত রাখি, আর সেখানে রান্না বান্না করি, দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করি, সেই খবরটা পুলিশের কাছে থাকা সম্ভব নয়। পুলিশের পক্ষে সব সময়ে নজর রাখা সম্ভব নয়। ঘরের মধ্যে দাহ্য পদার্থ রেখে, গ্যাস সিলিন্ডার জ্বালাচ্ছি, এটা তো সচেতনতার অভাব। যারা ফেরার তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য এত গুলো প্রাণ চলে গেল। ”

বাজি স্টোরেজ যাতে লোকালয়ের মধ্যে না হয়, সেই ব্যাপারে বাজি প্রস্তুতকারক সংস্থাদের সঙ্গে শীঘ্রই প্রশাসন বৈঠক করবে বলে জানিয়েছেন এডিজি। পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, ২০২২ সালে চন্দ্রকান্ত বণিককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ৬৮.৫ কেজি বাজি তাঁর থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে আর কোনও রেকর্ড রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এডিজি জানিয়েছেন, চন্দ্রকান্ত বণিক ও তুষার বণিকের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২৮৭, ২৮৮ (অবহেলার সঙ্গে দাহ্য পদার্থ ব্যবহার, যেটা জীবনহানি করতে পারে). ১০৫,  ১১০ (খুনের চেষ্টার মামলা ), ১২৫, ৬১ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল ফায়ার সার্ভিস অ্যাক্ট ৯৫০তে ২৪, ২৫।

বছর দশেক ধরে এই বাজি কারখানা চলছিল। নথিপত্র কী আছে, লাইসেন্স ছিল কিনা, সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ কর্তা। তিনি বলেন, “কেন বাড়িতেই বাজি মজুত করে রেখেছিলেন, কেন এতটা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দেখালেন, সবই দেখা হচ্ছে।”

প্রসঙ্গত, স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করছিলেন, ঢোলাহাট থানার পুলিশ চন্দ্রকান্ত বণিকের কাছে এসে প্রতি মাসে টাকা নিয়ে যেতেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রশ্ন করা হলে, এডিজি বলেন, “অভিযোগ করতেই পারে, কিন্তু লিখিতভাবে অভিযোগ এলে তদন্ত হবে। অভিযোগ করলেই তো হবে না।”

এই ঘটনার প্রশ্ন উঠেছে এলাকার বিধায়ক সমীর জানার ভূমিকা নিয়েও। তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে যোগাযোগ করেছিল TV9 বাংলা। বিধায়ক বলেন, “ওদের কী লাইসেন্স ছিল আমাদের জানা নেই। শুনেছি লাইসেন্স ছিল।ওই পরিবারের অনেকেই মারা গিয়েছে, অনেকে বাইরে। বহুদিন মালপত্র বিক্রি করে, এটা শোনা গিয়েছে।” প্রশ্ন করা হয়েছিল, বিধায়কের ছেলেও সেখান খেকে বোমা কিনেছেন। বিধায়ক বলেন, “ওখানে তো বাজি বিক্রি হত। আমার ছেলে হোক বা অন্য কেউ, সেখান থেকেই ছোট বোমা, তুবড়ি সংগ্রহ করত।”

 

Next Article