Calcutta High Court: ‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মৌলিক অধিকার, একে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা যায় না’, নবান্ন অভিযান বন্ধ নিয়ে স্পষ্ট কথা হাইকোর্টের
Calcutta High Court: পূর্ব অভিজ্ঞতার কথা মনে করিয়ে এদিন হাইকোর্টে জোরাল সওয়াল করে রাজ্যও। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর জানান, নবান্ন অভিযানের কথা আমরা সামাজিক মাধ্যম এবং বিভিন্ন পোস্টার থেকে জানতে পারছি। গতবছর নবান্ন অভিযানের সময় ৪৭ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছিলেন। একজন পুলিশ কর্মীর চোখও যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সে কথাও মনে করান।

কলকাতা: ‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মৌলিক অধিকার, একে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা যায় না’ নবান্ন অভিযান নিয়ে স্পষ্ট পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। এই ধরনের অভিযানের ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়। তাই এই অভিযান বন্ধ করা হোক। এই দাবিকে সামনে রেখেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হওড়ার এক ব্যবসায়ী। বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চে চলে শুনানি।
যদিও শুনানিতে বিচারপতি এও জানান, পুলিশ বা সরকারের অনুমতি ছাড়া কেউ প্রতিবাদ করতে পারবেন না। রাজ্য সরকার নির্দিষ্ট বিকল্প স্থানে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অনুমতি দিতে পারে। একইসঙ্গে বলেন, হিংসা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা সম্পূর্ণরূপে বেআইনি। ভারতীয় সংবিধানের ধারা ৫১এ অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য, তিনি যেন সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করেন ও হিংসা বর্জন করেন।
পূর্ব অভিজ্ঞতার কথা মনে করিয়ে এদিন হাইকোর্টে জোরাল সওয়াল করে রাজ্যও। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর জানান, নবান্ন অভিযানের কথা আমরা সামাজিক মাধ্যম এবং বিভিন্ন পোস্টার থেকে জানতে পারছি। ছাত্র সমাজের নামে অভিযানের ডাক দেওয়া হচ্ছে। গতবছর নবান্ন অভিযানের সময় ৪৭ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছিলেন। একজন পুলিশ কর্মীর চোখও যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সে কথাও মনে করান। ১৪৭ জন গ্রেফতার হয়েছিল। বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়। সে কথাও বলেন।
একইসঙ্গে রাজ্যের তরফে এও বলা হয়, আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা বলেছেন যে এবার তারা নবান্ন অভিযানের ডাক দেননি। কিন্তু আমাদের গোয়েন্দা রিপোর্ট অন্য কথা বলছে। শেষ পর্যন্ত রাজ্যের তরফে তিনটি বিকল্প জায়গার কথা বলা হয়। হাইকোর্ট বলেছে রাজ্যের বেছে দেওয়া এই তিন জায়গাতেই প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করতে হবে। তালিকায় রয়েছে মন্দিরতলা বাস স্ট্যান্ড (২০০ জন), তারপরই রয়েছে হাওড়া ময়দান (৫০০ জন), বঙ্কিম সেতুর নিচে (৫০০ জন)।
