কলকাতা: বকেয়া মহার্ঘভাতার দাবিতে আন্দোলন (DA Agitation) চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। আন্দোলনের সুর ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। আগামী ১০ মার্চ বকেয়া ডিএ-র দাবি বনধের ডাক দিয়েছে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চ। এবার সেই বনধের বিরোধিতা করে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন রমাপ্রসাদ সরকার। মামলাকারীর প্রশ্ন, মহার্ঘভাতা সরকারি কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার। কিন্তু সেটা না পেলে বনধ ডাকা কি মৌলিক অধিকার?
প্রসঙ্গত, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা। সম্প্রতি রাজ্যের তরফে সরকারি কর্মীদের ৩ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু তাতে চিড়ে ভেজেনি। নিজেদের অবস্থানে অনড় আন্দোলনরত সরকারি কর্মীরা। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে সমহারে ডিএ দিতে হবে, দাবি রাজ্য সরকারের আন্দোলনরত কর্মীদের। এর আগে বিধানসভা অভিযানের ডাকও দিয়েছিলেন তাঁরা। পরবর্তীতে ১০ মার্চ নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য বনধের সিদ্ধান্ত নেন আন্দোলনরত সরকারী কর্মীরা। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এরই মধ্যে এবার সরকারি কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চের ডাকে এই বনধের ইস্যুটি গড়াল আদালত পর্যন্ত। কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা।
উল্লেখ্য, এর আগে বকেয়া ডিএর দাবিতে কর্মবিরতিরও ডাক দিয়েছিলেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। দুই দিনের সেই পেন ডাউন কর্মসূচিকে কড়া হাতে দমন করতে পদক্ষেপ করেছিল সরকারও। জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ওই দুই দিনে ব্যতিক্রমী কারণ ছাড়া অফিসে বা কাজে হাজিরা না দিলে তা সার্ভিস ব্রেক হিসেবে গণ্য হবে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের তরফে ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এর বেশি ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়। সম্প্রতি রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘যাঁরা অনেক পান তাদের বেশি পাইয়ে দেওয়াটা আমার কাছে পাপ। না পোশালে ছেড়ে দিন।’ ফিরহাদের সেই মন্তব্যের পর অসন্তোষ আরও বেড়েছে সরকারি কর্মীদের একাংশের মধ্যে।