AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bagtui Massacre: ক্ষতিপূরণ ও চাকরি দিয়ে সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা? বগটুইকাণ্ডে ফের মামলা হাইকোর্টে

Bagtui Massacre: নিয়ম না মেনেই বগটুইয়ের ঘটনার পর ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য সরকার। চাকরি দিয়ে আদতে সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। গোটা বিষয়টাই বেআইনি। এমনই অভিযোগ তুলে এবার কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা।

Bagtui Massacre: ক্ষতিপূরণ ও চাকরি দিয়ে সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা? বগটুইকাণ্ডে ফের মামলা হাইকোর্টে
বগটুইয়ে স্বজনহারাদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Apr 25, 2022 | 12:03 PM
Share

কলকাতা : বগটুই নিয়ে ফের মামলা কলকাতা হাইকোর্টে। নিয়ম না মেনেই বগটুইয়ের ঘটনার পর ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য সরকার। চাকরি দিয়ে আদতে সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। গোটা বিষয়টাই বেআইনি। এমনই অভিযোগ তুলে এবার কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। মামলার প্রেক্ষিতে বগটুইকাণ্ডে রাজ্যের তরফ থেকে হলফনামা তলব করেছে হাইকোর্ট। আর্থিক সাহায্য এবং চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া ঠিক কী ছিল, তা নিয়ে হলফনামা চেয়েছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। দুই সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে ওই হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ২৬ জুলাই। মামলাকারীর অভিযোগ, চাকরি ও আর্থিক সাহায্য দেওয়ার নামে সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। সেই মামলার ভিত্তিতেই রাজ্যকে এই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, বগটুইয়ের হত্যাকাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে গিয়েছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামে। সেখান থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য আর্থিক সাহায্য ও চাকরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। বলেছিলেন, মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। যে বাড়িগুলি পুড়ে গিয়েছে, সেগুলি আবার তৈরি করার জন্য ১ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে, যদি প্রয়োজন পড়ে, তাহলে ২ লাখ পর্যন্ত দেওয়া হবে। এছাড়াও যাঁদের দেহ আগুনে ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে, তাঁদের ১ লাখ টাকা করে এবং যে শিশুরা জখম হয়েছে, তাদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এছাড়া চাকরির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারপিছু একজন করে চাকরি দেওয়া হবে। নিজের মুখ্যমন্ত্রী কোটা থেকে ১০ জনকে চাকরি দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। প্রাথমিকভাবে মাসে ১০ হাজার টাকার বেতনে কাজ দেওয়া হবে। এক বছর পর তা স্থায়ী হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। বগটুইয়ে গিয়ে এইভাবে চাকরি ও আর্থিক ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজ্য সরকার ঘটনার সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন মামলাকারী। তাঁর বক্তব্য, এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া প্রক্রিয়া নিয়ম বিরুদ্ধভাবে করা হয়েছে। মামলাকারীর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এবার রাজ্য সরকারের হলফনামা তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন : Calcutta High Court: ময়নাগুড়ি, শান্তিনিকেতন এবং নেত্রার ঘটনায় কেস ডায়েরি পেশের নির্দেশ হাইকোর্টের