কলকাতা: প্রথমে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ধর্ষণ, এরপর পাচার করার চেষ্টা! কিশোরীর বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অপরাধের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বরাহনগর থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে নির্যাতিতাতেও। কিন্তু পরিবারের দাবি, অপরাধ বড় মাপের হলেও পুলিশ একে ছোট করে দেখছে। যে কারণে লঘু ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এমনকী, মামলাটি মিটমাট করে নেওয়ার কথাও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বলে দাবি।
ঘটনার সূত্রপাত গত ১৪ অগস্ট। অভিযোগ, বরাহনগরের ওই কিশোরীকে ঘুরতে যাওয়ার নাম করে জোর করে দুই যুবক তুলে নিয়ে যায়। এরপর ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, এরপর তাকে বসিরহাটে নিয়ে গিয়ে পাচার করে দেওয়ার চেষ্টাও করে দেওয়া হয় বলে দাবি অভিযোগকারীর। ১৫ অগস্ট বরাহনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে কিশোরীর পরিবার। এরপর দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ, উদ্ধার হয় কিশোরী।
কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, এহেন গুরুতর ঘটনার পরেও পুলিশের তরফ থেকে বারংবার ‘সমঝোতা’ করে নেওয়ার আবেদন জানানো হয় কিশোরীর পরিবারকে। কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হলেও তার রিপোর্ট পরিবারকে দেওয়া হয়নি বলেও দাবি। এমনকী, পরিবারের তরফে বারবার আবেদন জানানো হলেও পকসো আইনে পুলিশ মামলা রুজু করেনি বলেও অভিযোগ। কেবল লঘু ধারায় মামলা করে কিডন্যাপ এবং বলপূর্বক আটকে রাখার ধারা দেওয়া হয়েছে। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তোলা হয়েছে বরাহনগর থানার বিরুদ্ধে।
যদিও অভিযোগ সম্পর্কে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তাদের বক্তব্য, কিশোরীর বয়ান ইতিমধ্যেই রেকর্ড করা হয়েছে। মামলাটি আদালতে উঠলে সেই ভিত্তিতেই পকসো ধারাতেও মামলা রুজু করার আবেদন জানানো হবে। কমিশনারেটের যুগ্ম কমিশনার ধ্রুবজ্যোতি দে জানিয়েছেন, “সাধারণত অভিযোগের ওপর ভিত্তি করেই মামলা রুজু হয়। ডিসি সাউথকে বিষয়টি বলা হয়েছে দেখার জন্য। প্রয়োজনে কিশোরীর পরিবার ডেপুটি কমিশনারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। অভিযোগ জানাতে পারেন। পুলিশ সব ক্ষতিয়ে দেখে পদক্ষেপ নেবে।” আরও পড়ুন: কোমর কষছে সিবিআই, হিংসা ও মামলার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য চেয়ে চিঠি ডিজি বীরেন্দ্রকে