কলকাতা: কয়েকদিন আগেই সেনার পোশাক পরে যাদবপুর (Jadavpur University) ক্য়াম্পাসে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল একদল যুবক-যুবতীকে। যদিও প্রথমে তাঁদের দেখে ভারতীয় সেনা বলেই ভুল করেছিলেন অনেকে। ভুল হবে নাই বা কেন! তাঁদের, চালচলন থেকে শুরু করে কথাবার্তা সবকিছুই যে ছিল সেনার মতো। ঢোকা মাত্রই তাঁদের সকলের মুখে একটাই, যাদবপুরে অশান্তির খবর পেয়ে তাঁরা নাকি শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে এসেছেন। নিজেদের বিশ্ব শান্তি সেনা বলেও পরিচয় দেন। স্পষ্ট বলেন দেশের যেখানেই অশান্তি হবে সেখানে পৌঁছে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা তাঁদের কাজ। কিন্তু, তাঁদের আসল পরিচয় নিয়ে যখন টানাপোড়েন চলছে সেই সময় দলের কর্মকর্তা কাজী সাদেক হোসেন আবার নিজেকে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটির জেনারেল সেক্রেটারি বলে দাবি করে বসেন। এবার সেই কাজীকেই ধরল পুলিশ।
কেন তাঁরা ক্যাম্পাসে সেনার পোশাক পরে ঢুকেছিলেন, কে তাঁদের অনুমতি দিয়েছিল, তাঁদের আসল উদ্দেশ্য কী সেনার পোশাক পরার অনুমতি তাঁদের কাছে রয়েছে কিনা এসবরই উত্তর খুঁজছিল পুলিশ। হাজিরা দেওয়ার জন্য আগেই কাজী সাদেক হোসেনকে তলব করেছিল পুলিশ। বাড়িতে গিয়েছিল নোটিস। কিন্তু, পুলিশের ডাকে সাড়া দেননি তিনি। কিন্তু, শুক্রবারই তাঁকে এই নোটিস পাঠানো হয়।
সূত্রের খবর, প্রথমে তাঁর খোঁজ না মিললেও রাতের দিকে গার্ডেনরিচ থানায় গিয়ে পুলিশের ওই নোটিস হাতে নেন কাজি। কিন্তু, শনিবার যাদবপুর থানায় হাজিরা দেননি তিনি। সে কারণেই শনিবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথমে কাজীকে গার্ডেনরিচ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে যাদবপুর থানায় আনা হয়। তারপরই গ্রেফতার।