কলকাতা: করোনার সময় দীর্ঘ সময় খোলেনি স্কুল, তারপরেও বাড়ানো হয়েছিল স্কুল ফি। তা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময়েই স্কুল কর্তৃপক্ষের লোকজন তাঁকে বলেছিলেন তিনি চিহ্নত হয়ে রইলেন। ছেলে হারিয়ে এদিন বারবার এ কথা বলতে শোনা যায় কসবার মৃত ছাত্রের বাবাকে। গোটা ঘটনার জন্য কাঠগড়ায় তোলেন স্কুলকেই। রাতেই তিনি কসবা থানায় এসে দীর্ঘ সময় কথাও বলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁদের আইনজীবী। কসবা থানা থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের বলেন খুন করা হয়েছে তাঁর ছেলে। তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন। সূত্রের খবর, পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই কসবা থানা অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত করছে। মঙ্গলবার মৃত ছাত্রের ময়নাতদন্ত হবে বলে জানতে পারা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, ছয়তলা থেকে পড়ে যাওয়ার পরেই ওই ছাত্রকে নিয়ে আসা হয় মুকুন্দপুর এর এক বেসরকারি হাসপাতালে। হাসপাতালে নিয়ে আসার পরেই কার্যত হাসপাতালে সামনে ভিড় জমান পরিবারের লোকজন। মৃত ছাত্রের স্কুলের বয়ান ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। একাধিকবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়েন পরিবারের লোকজন। পরিবারের তরফে অভিযোগ, মানসিক ভাবে অত্যাচার হয়েছে, মারধর করে মেরে ফেলা হয়েছে ওই ছাত্রকে। স্কুল বন্ধের দাবিও জানায় মৃত ছাত্রের পরিবারের আত্মীয়রা। পাশাপাশি তারা প্রশ্ন তোলেন কেন স্কুলের কাছাকাছি হাসপাতাল থাকতেও কেন এত দূরের হাসপাতালে নিয়ে আসা হলো? তাহলে কি কিছু চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে? অন্যদিকে ওই বিদ্যালয়ের এক একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ার বাবারও বক্তব্য একই। কার্যত পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ও স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ তোলেন তিনিও। পাশাপাশি পুলিশের সঙ্গে টাকা দিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সেটিং এর মতো অভিযোগও জানান ক্যামেরার সামনে।
প্রসঙ্গত, ওই একাদশ শ্রেণীর ছাত্রের বাবার কথায়, সোমবারও স্কুল থেকে ওই ছাত্রকে TC দেওয়ার কথা নাকি বলা হয়েছিল। সব মিলিয়ে পরিবারের অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষের দিকেই, পাশাপাশি হাসপাতালের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ পরিবারের। এখন দেখার পুলিশি তদন্তের অগ্রগতি কোনদিকে যায়।