নয়া দিল্লি: পঞ্চায়েত নির্বাচনের রেশ কাটনে না কাটতেই ফের ভোট বাংলায়। ধূপগুড়ি বিধানসভা উপ নির্বাচনের দিকে নজর সব মহলের। এই ভোট নিছকই একটা উপনির্বাচন হলেও লোকসভা নির্বাচনের আগে এই নির্বাচনকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সব রাজনৈতিক দল। উত্তরের রাজনীতির নিরিখেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচন। এবার সেই কেন্দ্রে ত্রিমুখী লড়াই। কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে প্রচার চালিয়েছে তৃণমূল, বিজেপি ও বাম-কংগ্রেস জোট। মঙ্গলবার সেই কেন্দ্রে ভোট-পরীক্ষা। কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে হবে সেই নির্বাচন।
ধূপগুড়ি বিধানসভা আসন ছিল বিজেপির হাতে। বিধায়ক ছিলেন বিষ্ণুপদ রায়। তাঁর মৃত্যুর পর আসনটি ফাঁকা হয়ে যায়। সে কারণেই এই উপনির্বাচন হচ্ছে। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও বিশেষ যত্ন নিয়েছে সব দলই। তৃণমূলের প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায় পেশায় শিক্ষক। ভোটে লড়ছেন আরও এক শিক্ষক ইশ্বরচন্দ্র রায়, তিনি বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী। অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থী করেছে পুলওয়ামার শহিদ জওয়ানের স্ত্রী তাপসী রায়কে।
প্রত্যেক দলই মন দিয়ে প্রচারও চালিয়েছে বিধানসভা কেন্দ্রে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে দেখা গিয়েছে প্রচার ময়দানে।
মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ, চলবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত। প্রতিটি বুথে থাকবে সিসিটিভি অথবা ওয়েব কাস্টিং-এর ব্যবস্থা। চারটি পয়েন্টে থাকবে নাকা চেকিং-এর ব্যবস্থা। থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কোনও ধরনের অভিযোগ এলেই যাতে ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেই বন্দোবস্তও করা হয়েছে। ৯৩৩৯৪৬৯২২৯ – এই নম্বরে যোগাযোগ করে রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলা যাবে। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর এই নির্বাচনের ফল প্রকাশ হবে।
এর আগে সাগরদিঘি বিধানসভার উপ নির্বাচনে ধাক্কা খেয়েছিল শাসক দল। কংগ্রেসের সেই জয়ী প্রার্থী পরবর্তীতে তৃণমূলে যোগ দিলেও ওই নির্বাচন রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এবার ধূপগুড়ির নির্বাচনও সব দলের কাছে অ্যাসিড টেস্ট বলেই মনে করা হচ্ছে।