কলকাতা : হরিদেবপুরে বান্ধবীর বাড়িতে যাওয়ার পরই নিখোঁজ হয়ে যান ২১ বছরের অয়ন মণ্ডল। আর দুদিন পর তাঁর দেহ উদ্ধার হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট থেকে। শহর কলকাতার বুকে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর থেকেই পুলিশের তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। মোবাইলে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিয়ো, ব্ল্যাকমেলিং, ধর্ষণের মতো অভিযোগ সামনে আসার পর খুনের কিণারা করতে আরও তৎপর পুলিশ। এবার ধৃতদের বয়ান সত্যি কি না, তা মিলিয়ে দেখার জন্যই মাগুরপুকুরের দিকে গেল কলকাতা পুলিশের একটি টিম।
সোমবার সন্ধ্যায় হরিদেবপুর থেকে গাড়ি নিয়ে সোজা মাগুরপুকুরে যায় পুলিশের ওই টিম। অয়নের বান্ধবী সহ যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের বয়ান অনুযায়ী যে পথ দিয়ে অয়নের দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মাগুরপুকুরে, সেই পথ ধরেই যান পুলিশ আধিকারিকরা। পথে যে সিসিটিভি রয়েছে, তার ফুটেজও সংগ্রহ করছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। মূলত বয়ানের সত্যতা যাচাই করার জন্যই এইভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, অয়নের ফোন খুঁজতে মরিয়া পুলিশ। কারণ ওই ফোন খুঁজে পাওয়া গেলে তদন্ত নতুন মোড় নেবে বলে মনে করা হচ্ছে। অয়নের বান্ধবীর পরিবারের তরফে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানানো হয়েছে, মায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের একটি ভিডিয়ো ছিল অয়নের মোবাইলে। আর সেই ভিডিয়ো দেখিয়েই নাকি বান্ধবীকে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করতেন অয়ন। বান্ধবীর বাবা পুলিশের কাছে এমনটাই দাবি করেছেন বলে সূত্রের খবর।
সেই ভিডিয়োই এখন পুলিশের পাখির চোখ। ফোন খুঁজে পাওয়া গেলে, অনেক রহস্যের পর্দা ফাঁস হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তবে এখনও সেই ফোন খুঁজে পাওয়া যায়নি। অয়নকে খুন করার পর তাঁর মোবাইল ফোনটি কোনও জলাশয়ে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ধৃতদের বয়ানে সে কথা জানালেও, সংশ্লিষ্ট জায়গায় গিয়ে এই ফোন খুঁজে পায়নি পুলিশ। জানা গিয়েছে, ঘটনার রাতে বান্ধবীর মা বাদে সবাই মদ্যপ ছিলেন, তাই কোথায় ফোন ফেলা হয়েছে, তা বলতে কেউই বলতে পারছেন না সঠিকভাবে। সিসিটিভি থেকে কোনও তথ্য, প্রমাণ পাওয়া যায় কি না, সেটাই দেখছেন তদন্তকারীরা।