AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Prasant Kishore: যোগদানের জল্পনা তুঙ্গে, পিকে-র ‘গেমপ্ল্যানে’ কতটা বদলাতে পারে রাজনীতির সমীকরণ?

Prasant Kishore's Congress Joining: তৃণমূলের সঙ্গে পিকের সম্পর্কের সমীকরণ কোনদিকে গড়িয়েছে, তা নিয়ে দলের অন্দরেই কিছুটা অস্বচ্ছতা রয়েছে। তবে প্রশান্ত কিশোর বিশেষ কোনও দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেসে যোগদান করলে, তৃণমূলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্কের অবসান ঘটবে বলে ধারণা।

Prasant Kishore: যোগদানের জল্পনা তুঙ্গে, পিকে-র 'গেমপ্ল্যানে' কতটা বদলাতে পারে রাজনীতির সমীকরণ?
ফাইল ছবি
| Edited By: | Updated on: Apr 22, 2022 | 2:11 PM
Share

কলকাতা: কংগ্রেসের (Congress) হাল ফেরাতে ভরসা এখন পিকে(PK)-ই। সম্প্রতিই কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী(Sonia Gandhi)-র সঙ্গে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (Prasant Kishore) সাক্ষাৎ ঘিরেই জল্পনা তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, পরিকল্পনামাফিক সবকিছু এগোলে চলতি সপ্তাহের শেষভাগেই কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন প্রশান্ত কিশোর। সম্প্রতিই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পরই, আসন্ন লোকসভা নির্বাচন নিয়ে গভীর চিন্তায় পড়েছে কেন্দ্রের অন্যতম বিরোধী দল। সেই কারণেই ২০২৪-র লোকসভা নির্বাচনে দলেরহাল ফেরাতে পিকের উপরই আস্থা রাখতে চায় কংগ্রেস। এদিকে, প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসে যোগদান করলে জাতীয় ও বাংলার রাজনীতির সমীকরণও কী অভিমুখ নেবে, তা নিয়েই চর্চা তুঙ্গে।

সম্প্রতিই রামনবমীতে মাংস খাওয়া থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পোশাক সহ একাধিক ইস্যুতে অবিজেপি দলগুলির তরফে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছিল। সেখানে সনিয়া গান্ধী, শরদ পাওয়ারের মতো নেতার সঙ্গেই স্বাক্ষর করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিবৃতিতে স্বাক্ষর রয়েছে এমকে স্ট্যালিন, তেজস্বী যাদব, সীতারাম ইয়েচুরি, দীপঙ্কর ভট্টাচার্যদের মতো একাধিক দলের নেতাদের। এই বিবৃতিই যখন প্রকাশিত হচ্ছে , ঠিক সেই সময়েই সনিয়া ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের বৈঠক শুরু হয় কংগ্রেসে যোগদান ঘিরে।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, এই যৌথ বিবৃতির মাস্টারমাইন্ড প্রশান্ত কিশোরই। তবে প্রশ্ন উঠছে, এই যৌথ বিবৃতির মতোই অবিজেপি দলগুলি কি এক মঞ্চে আসতে পারবে? ২০২৪-এ কেন্দ্রের গদি দখলের লক্ষ্যে সনিয়া ও মমতার মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজেও কি গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন প্রশান্ত কিশোর?

অন্যদিকে, প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসের হয়ে রাজনীতির ময়দানে পা রাখলে বাংলার রাজনীতিতেও কংগ্রেসের ফের প্রাসঙ্গিকতা বাড়বে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। বিগত নির্বাচনগুলিতে রাজ্যে কংগ্রেসের অবস্থা কার্যত সাইনবোর্ডে পরিণত হয়েছে। পিকের যোগদানে কংগ্রেস যদি নতুন করে গতি পায়, তবে নিশ্চিতভাবে এ রাজ্যে রাজনৈতিক সমীকরণেও বদল আসবে। তবে কংগ্রেসের সক্রিয়তা তৃণমূলের জন্য স্বস্তি নাকি অস্বস্তি বাড়াবে, তা একমাত্র সময়ই বলবে।

কোন পথে এগোচ্ছে পিকে-তৃণমূলের সম্পর্ক?

২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনের পরই প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক(I-Pac)-র সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আইপ্যকের একটি ছোট দল তৃণমূলের সঙ্গে কাজ করবে বলেই স্থির হয়। এদিকে, মাঝের পুরসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ঘিরেই প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়েছিল তৃণমূল সুপ্রিমোর, এমনটাই দাবি ছিল তৃণমূল শিবিরের একাংশের। কিন্তু এরপরও নজরুল মঞ্চে দলের সাংগঠনিক সভায় মঞ্চে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে প্রশান্ত কিশোরকে।

সম্প্রতি পিকে-র কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ায় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, “পিকে একজন পেশাদার ভোট কুশলী। যেকোন দলের সঙ্গেই তিনি কাজ করতে পারেন”। অন্যদিকে, প্রবীণ তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়ের দাবি , প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে তৃণমূলের এখন কি সম্পর্ক, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। অর্থাৎ তৃণমূলের সঙ্গে পিকের সম্পর্কের সমীকরণ কোনদিকে গড়িয়েছে, তা নিয়ে দলের অন্দরেই কিছুটা অস্বচ্ছতা রয়েছে। তবে প্রশান্ত কিশোর বিশেষ কোনও দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেসে যোগদান করলে, তৃণমূলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্কের অবসান ঘটবে বলে ধারণা।

তবে পিকে কংগ্রেসে গুরুভার পেলে, তা জাতীয় রাজনীতিতে অবিজেপি জোট গঠনে মমতার পক্ষে সহায়ক ভূমিকাই পালন করতে পারে। কংগ্রেসে থেকে রাহুল-সনিয়ার সঙ্গে মমতার সম্পর্কও মধুর করতে বিশেষ ভূমিকা নিতে পারেন পিকে।

রাজ্যের ক্ষেত্রে কি হতে পারে?

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসের গুরু দায়িত্ব নিলে, এরাজ্যেও কংগ্রেস জেগে উঠবে। রাজ্যে কংগ্রেস প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেলে একদিকে যেমন দলের ভিতরে নতুন বনাম পুরনোর দ্বন্দ্ব জেগে উঠতে পারে, অন্যদিকে রাজ্য রাজনীতির সমীকরণও বদলে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের জেরে অতিষ্ঠ অনেকেই বিকল্প হিসাবে কংগ্রেসকে নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু করতে পারেন। এই নব্য কংগ্রেস বামেদের সঙ্গে জোট বাঁধবে নাকি তৃণমূলের সঙ্গে, নাকি ‘একলা চলো’র নীতি অনুসরণ করে চলবে, তা নিয়ে আলোচনার অবকাশ থাকবে। রাজ্যের বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল এই বিষয় নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য না করলেও, গোটা বিষয়টি কোন দিকে গড়াবে, তার দিকেই ক্রমাগত নজর রাখছেন তারা।

আরও পড়ুন: UK PM Boris Johnson: মোদীতে মুগ্ধ বরিস, শুক্রবারের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে নজর বিশ্বের