RG Kar Hospital: ‘সন্দেহের বশে পলিগ্রাফ টেস্ট করা যায় না, ওরা দুজন কি ধর্ষণ-খুনে অন্যতম অভিযুক্ত?’ আদালতে চাপ বাড়ল সিবিআইয়ের

সুজয় পাল | Edited By: জয়দীপ দাস

Sep 20, 2024 | 5:30 PM

RG Kar Hospital: সিবিআইয়ের আইনজীবীর কাছে টালা থানার ওসি ও সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন বিচারক। সূত্রের খবর, শুনানির মধ্যে স্পষ্টতই বলেন, “আগের দিন জানতে চেয়েছিলাম এই দুজন কি ধর্ষণ-খুনে অন্যতম অভিযুক্ত? শেষ দিনে আপনারা এমন কোনও তথ্য পেয়েছেন?

RG Kar Hospital: ‘সন্দেহের বশে পলিগ্রাফ টেস্ট করা যায় না, ওরা দুজন কি ধর্ষণ-খুনে অন্যতম অভিযুক্ত?’ আদালতে চাপ বাড়ল সিবিআইয়ের
সিবিআই।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: টানাপোড়েন চলছেই। তিলোত্তমা মামলায় ২ অভিযুক্তকে পাঁচদিনের জন্য হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন সিবিআইয়ের। যদিও সিবিআইয়ের আইনজীবীর স্পষ্ট বিরোধিতা করতে দেখা যায় আরজি কর কেসে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের আইনজীবীকে। বিরোধিতা করেন সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীও। তাঁদের দাবি, এজেন্সি এখনও মনে করছে তাঁরা ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকতে পারে। কিন্তু তাঁদের কাছে কোনও প্রমাণ নেই। এই প্রেক্ষিতে তাঁর মক্কেলের জামিনও চান ধৃত সিভিকের আইনজীবী। তাঁর স্পষ্ট, দাবি তদন্তে কোনও অগ্রগতি নেই। তাই এইভাবে আটকে রাখার কোনও মানে নেই। 

পাল্টা সিবিআইয়ের আইনজীবীর কাছে টালা থানার ওসি ও সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন বিচারক। সূত্রের খবর, শুনানির মধ্যে স্পষ্টতই বলেন, “আগের দিন জানতে চেয়েছিলাম এই দুজন কি ধর্ষণ-খুনে অন্যতম অভিযুক্ত? শেষ দিনে আপনারা এমন কোনও তথ্য পেয়েছেন? ঘটনার সময় তাঁরা কোথায় ছিল খোঁজ নিয়েছেন? তার মানে এই পর্যায়ে এটা পরিষ্কার যে তারা ধর্ষণ ও খুনে যুক্ত নন।” পাল্টা সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “কিছু বিষয় রয়েছে যেটা তারা স্পষ্ট করছেন না। বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে যুক্ত। আমরা অভিজিতের পলিগ্রাফ টেস্ট ও সন্দীপের নারকো টেস্টের জন্য আবেদন করছি।”

এ কথা শুনে বিচারক বলেন,” এটা ওনারা রিফিউজ করেছেন। সন্দেহের বশে নারকো টেস্ট বা পলিগ্রাফ টেস্ট করা যায় না। আপনাদের কাছে এমন কোনও তথ্য আছে যেটায় বোঝা যাচ্ছে সন্দীপ ও অভিজিৎ জানতো যে এরকম ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে? অভিজিৎ ও সন্দীপের বিরুদ্ধে কোনও ক্রেডিবল মেটিরিয়াল পাওয়া গিয়েছে রেপ অ্যান্ড মার্ডারে?” পাল্টা যুক্তিতে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “এরা একে অপরকে চিনতেন। সহ ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে যুক্ত। অন্য পুলিশ কর্মীরা যা বলছেন বা বয়ান দিয়েছে তার সঙ্গে ওসির কথা মিলছে না। তাই ফের জেরা করে জানা যাবে। এদের মুখোমুখি জেরা করতে হবে।”

এই খবরটিও পড়ুন

এখানেই না থেমে সিবিআইয়ের দাবি, দু’জনই তদন্তে অসহযোগিতা করছেন। কোনও সাহায্য করছে না। হেড অফ দা থানা অভিজিৎ মন্ডল উনি মামলা করলেন রাতে। ময়নাতদন্ত সন্ধ্যায় হয়। এগুলি করা হয়েছে যাতে প্রসেস দেরি হয়। প্রমান লোপাট করতে পারে। সেটাই করেছে ওসি। সিবিআইয়ের আইনজীবী আরও বলেন, “আমরা টালা থানা ও হাসপাতালের ফুটেজ পেয়েছি। দেহ উদ্ধারের দিন সকাল ১০ টায় ওসি থানায় বা হাসপাতালে ছিল না। CDR চেক করে জানার চেষ্টা করছি। উনি আসলে কোথায় ছিলেন?” এই প্রশ্ন নিয়ে যখন চাপানউতোর চলছে তখন অভিজিতের আইনজীবী বলেন, “সিবিআই মনে করছে প্রমাণ লোপাট হয়েছে। মনে হওয়া দিয়ে কিছু হয় না।” একই সুর সন্দীপের আইনজীবীর গলাতেও। বলেন, “গ্রেফতারের পর থেকে এখনও ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনা খুঁজে যাচ্ছে।” সন্দীপের নারকো টেস্ট ও অভিজিৎ মন্ডলের পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য দু’জনের মত নেওয়ার শুনানি হতে চলেছে ২৩ সেপ্টেম্বর। দু’জনকেই সেদিন ফের হাজির করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

Next Article