Post Poll Violence: ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ মামলায় পুণে থেকে গ্রেফতার নদিয়ার অভিযুক্ত
CBI: কলকাতা হাইকোর্টের তদন্ত ভার পাওয়ার পর গত ২৫ অগস্ট এই ঘটনায় মামলা রুজু করে সিবিআই।
কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) মামলায় গ্রেফতার আরও একজন। পুণে থেকে গ্রেফতার করা হল বলরাম দাস নামে এক যুবককে। নদিয়ার কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের হয়েছিল ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে। সেই ঘটনায় এই গ্রেফতারি। সোমবারই বলরামকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে ট্রানজিট রিমান্ডে নদিয়ায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
অভিযোগ, ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Clash) বলি হন নদিয়ার কোতোয়ালি থানা এলাকার বিজেপি কর্মী পলাশ মণ্ডল। অভিযোগ, গত ১৪ জুন পলাশ মণ্ডলকে বাড়িতে গুলি করে, বোমা মেরে খুন করে দুষ্কৃতীরা। কলকাতা হাইকোর্টের তদন্ত ভার পাওয়ার পর গত ২৫ অগস্ট এই ঘটনায় মামলা রুজু করে সিবিআই। ১০ সেপ্টেম্বর চার্জশিট জমা পড়ে আদালতে। পাঁচজনের নামে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। সেখানে নাম ছিল বলরামের। এই ঘটনায় তাঁকে মূল অভিযুক্ত হিসাবে বলা হয়েছে।
সিবিআই তদন্ত ভার নেওয়ার পর থেকে একাধিকবার সেখানে গিয়েছেন। নিহত পলাশের বাড়ির দেওয়ালে বোমা ও গুলির চিহ্ন থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন। পলাশের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। এরপরই গত ১০ সেপ্টেম্বর চার্জশিট দাখিল করা হয়। ১৫ জনের নাম রয়েছে সেখানে। এর মধ্যে যে ১২ জন জেল হেফাজতে, তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার কথা বলা হয় সিবিআইয়ের তরফে। বাকি তিনজনের ক্ষেত্রেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। সেই তালিকায় ছিল বলরাম দাসের নামও। এবার তিনিও সিবিআইয়ের জালে।
নদিয়ায় পলাশ মণ্ডল খুনের ঘটনায় চার্জশিটটি ছিল সিবিআইয়ের চতুর্থ চার্জশিট। এর আগে বীরভূমের বাসিন্দা মনোজ জয়সওয়ালের মৃত্যু মামলায় প্রথম চার্জশিট দাখিল করে সিবিআই। গত ১৪ মে মনোজকে খুনের অভিযোগ ওঠে। এলাকায় তিনি বিজেপি কর্মী হিসাবে পরিচিত বলেই পুলিশের কাছে দাবি করা হয়। ২ সেপ্টেম্বর এই চার্জশিট জমা পড়ে।
৩ সেপ্টেম্বর বিজেপি কর্মী জয়প্রকাশ যাদব খুনে ব্যারাকপুর আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে সিবিআই। চার্জশিটে নাম রয়েছে টুনটুন চৌধুরী নামে একজনের। এ ছাড়াও আরও তিনজনের নাম রয়েছে সেখানে। তদন্ত ভার গ্রহণের দু’ সপ্তাহের মধ্যেই দু’টি চার্জশিট জমা দেয় গোয়েন্দারা।
১০ সেপ্টেম্বর জমা পড়ে তৃতীয় চার্জশিট। বীরভূমের কাঁকড়তলার বিজেপি কর্মী মিঠুন বাগদি খুনে চার্জশিট জমা পড়ে এদিন। এই খুনের ঘটনায় আগেই পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁদের মধ্যে তিনজন জেল হেফাজতে থাকলেও বাকি দু’জনের জামিন হয়েছে। গত ১২ জুন বীরভূম জেলার খয়রাশোল ব্লকের কাঁকড়তলা থানার অন্তর্গত নবসন গ্রামে বিজেপির বুথ সহ–সভাপতি মিঠুন বাগদি খুন হন। সেই ঘটনার তদন্তে পুলিশ ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: BIG NEWS: কয়লাকাণ্ডে প্রথম গ্রেফতারি সিবিআইয়ের, লালার বিপদ বাড়িয়ে ধৃত চার