Post Poll Violence Case: ১ মাস ধরে খালিই পড়ে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তদন্তকারীর পদ! আদালতে SIT

Shrabanti Saha | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 12, 2023 | 1:26 PM

Post Poll Violence Case: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির ঘটনা ঘটে। শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের বিস্তর অভিযোগ ওঠে। বিরোধীরা অভিযোগ করেন, শাসকদলের নেতা মন্ত্রীদের অঙ্গুলিহেলনেই ভোট পরবর্তী পর্যায়ে রাজ্যের সর্বত্র হিংসা, খুনোখুনি, বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

Post Poll Violence Case: ১ মাস ধরে খালিই পড়ে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তদন্তকারীর পদ! আদালতে SIT
কলকাতা হাইকোর্ট।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায়  আদালতের তৈরি সিটের দ্বায়িত্বে থাকা আইপিএস অফিসার অবসর নিয়েছেন। তার পরিবর্তে অন্য আধিকারিক নিয়োগ করার আবেদন জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের  প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণ সিটের আইনজীবীর। যেহেতু রাজ্য সিটের জন্য আইপিএস অফিসারের নাম দিয়েছিল,  সেই কারণে নতুন অফিসার নিয়োগের জন্য রাজ্যকে চিঠি দিতে নির্দেশ  দিলেন প্রধান বিচারপতি। তারপর ৫ বিচারপতির বেঞ্চে দৃষ্টি আকর্ষণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ বর্তমানে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে বিচারাধীন।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির ঘটনা ঘটে। শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের বিস্তর অভিযোগ ওঠে। বিরোধীরা অভিযোগ করেন, শাসকদলের নেতা মন্ত্রীদের অঙ্গুলিহেলনেই ভোট পরবর্তী পর্যায়ে রাজ্যের সর্বত্র হিংসা, খুনোখুনি, বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে ঘরছাড়া ছিলেন।

হাইকোর্টে মামলা হয়। হাইকোর্টের নির্দেশেই তদন্ত শুরু করে সিবিআই। তদন্তের একেবারে প্রথম দিকে ২৮-৩০ জন আধিকারিক এই মামলার তদন্ত করছিলেন। তদন্তের গতি আরও তীক্ষ্ণ করতে সিবিআই এরপর চারটি স্পেশ্যাল অপারেশনাল ইউনিট গঠন করা হয়। পরে অবশ্য সেই ইউনিটও গুটিয়ে নেওয়া হয়। বর্তমানে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্ত করছে কলকাতার স্পেশ্যাল ক্রাইম শাখা।

এরপর একুশ সালের অগস্ট মাসে  ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ভাঙচুর করা, আগুন লাগানো, মারধর করা, ঘরছাড়া করার মতো অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় সিট গঠন করার নির্দেশ দেয় আদালত। তিন আইপিএস আধিকারিক সুমনবালা সাহু, সৌমেন মিত্র এবং রণবীর কুমারের নেতৃত্বে গঠিত হয় সিট। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নজরদারিতে কাজ করতে থাকে সিট। এই মামলা এখনও বিচারাধীন। তার মধ্যেই সুমনবালা সাহু ৩০ নভেম্বর অবসর গ্রহণ করেন। তাঁর জায়গাটি বর্তমানে খালি রয়েছে।

Next Article