কলকাতা: বঙ্গ বিজেপিতে (Bengal BJP) বর্তমানে সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন অমিতাভ চক্রবর্তী। আর তিনি থাকাকালীনই পুরনো সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)-কে বিজেপিতে ফিরিয়ে আনতে চেয়ে পড়ছে পোস্টার। এই নিয়ে পোস্টারও পড়ছে বেশ কিছু জায়গায়। আর এই নিয়েই ফের তুঙ্গে রাজনৈতিক চর্চা। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ফের একবার বিজেপির দলীয় সংগঠন নিয়ে বিতর্কের বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে? বঙ্গ বিজেপির পূর্বতন সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে দলে ফিরিয়ে আনতে চাইছেন কি একাংশ? পোস্টার ঘিরে এমনই বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে।
যে পোস্টারটি ছড়িয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে বিজেপির পদ্ম প্রতীকের নীচে লেখা ‘বিজেপি বাঁচাও’। সঙ্গে পূর্বতন সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)-এর ছবি দিয়ে লেখা রয়েছে, “বঙ্গ বিজেপির হাল ফেরাতে ১৮টি লোকসভা আসনে জয়ের অন্তরালের কারিগর সুব্রত চট্টোপাধ্য়ায়কে অবিলম্বে ফেরাতে হবে।” আর এই পোস্টার ঘিরেই নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রায় আট বছর বঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। তাঁর আমলেই ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সাফল্যের মুখ দেখেছিল পদ্ম শিবির। পঞ্চায়েতে ব্যাপক লড়াই করে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিল বিজেপি।
রাজ্য রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, সাংগঠনিকভাবে বঙ্গ বিজেপিকে অত্যন্ত দক্ষহাতে সামলেছেন তিনি এবং তাঁর আমলেই বিজেপি একটু একটু করে বাংলায় ক্ষমতা বাড়াতে শুরু করেছিল। শুধু তাই নয়, প্রতিটি জেলায় সব নেতাদের সঙ্গেও তাঁর নিবিড় যোগাযোগ ছিল বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। তিনি যখন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদে, তখন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি হিসেবে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। বঙ্গ বিজেপির অন্দরমহলে তাঁদের দিলীপ-সুব্রত জুটির বেশ খ্যাতিও ছিল। বর্তমানে রাজ্যে আরএসএস-এর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। আর এরই মধ্যে তাঁকে বিজেপির সংগঠনে ফিরিয়ে আনার দাবি তুলে পোস্টার পড়ল জেলায় জেলায়।
যদিও এই পোস্টারের বিষয়কে মোটেই ভাল চোখে দেখছে না বঙ্গ বিজেপি শিবির। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “এই ধরনের পোস্টার আমি দেখতে পাইনি এখনও। যে পদটির বিষয়ে কথা হচ্ছে, সেটি পরিবর্তন করা ক্ষমতা বিজেপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, যাঁদের উদ্দেশে পোস্টার মারছেন, তাঁদের কারও নেই। এটি পরিকল্পিতভাবে কেউ দলের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছেন। এই ধরনের অপচেষ্টাকে দল তার নিজস্ব সাংগঠনিক পরিকাঠামো দিয়ে বিচ্ছিন্ন করে দেবে।”