কলকাতা : কংগ্রেসের (Congress) ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে গত বছর থেকেই আলোচনা চলছে গোটা দেশজুড়ে। নতুন বছরের শুরুতেই এই ভারত জোড়ো যাত্রাই এদিন প্রবেশ করল কলকাতায় (Kolkata)। মিছিলের নেতৃত্ব দিলেন খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Choudhury)। তারাতলা থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত আয়োজন করা হল ২০ কিলোমিটারের বর্ণাঢ্য পদযাত্রা। এই মিছিল থেকেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) ফের একহাত নিতে দেখা গেল অধীরকে। অধীরের দাবি, “গোটা দেশে বিপক্ষ এক হলে বিজেপি ক্ষমতায় থাকবে না। এটা বিজেপির নিজস্ব সার্ভে বলছে। ৬৩ শতাংশ ভোট বিজেপির বিরোধে। তাই গদি বাঁচাতে বিজেপির চাই ট্রয়ের ঘোড়া। দিদি হলেন মোদীর ট্রয়ের ঘোড়া। মোদী খুশি দিদির পারফরম্যান্সে।” তবে অধীরের এই আক্রমণের পাল্টা দিয়েছে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
পাল্টা অধীরের বিরুদ্ধে তোপ দেগে কুণাল বলেন, “ভোট কাটার জন্য কংগ্রেস বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের সঙ্গে লড়েছিল এবং দুজনেই শূন্যে পরিণত হয়েছিল। তবে তাঁর থেকে তাঁরা শিক্ষা নেননি। আমি পুরনো কংগ্রেসীদের বলব বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে হলে তৃণমূলের মঞ্চে থাকুন। যে সিপিএমের হাতে কংগ্রেসের হাজার হাজার কর্মী নিহত-আহত হয়েছিল, এই সিপিএমের সঙ্গে আপনারা জোট করছেন। এটা তো কংগ্রেসের কর্মীদের বুক ভেঙে দেওয়ার মতো ঘটনা। আসলে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। সর্বকালের ব্যর্থ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনিই দলকে শূন্যে নামিয়েছেন বিধানসভা নির্বাচনে।”
প্রসঙ্গত, এদিন সকালে তারাতলা থেকে কংগ্রেসের পদযাত্রা শুরু হয়। তারাতলা মোড়, নিউ আলিপুর, কালীঘাট ব্রিজ, এ জে সি বোস রোড হয়ে বিধানভবনে এসে পৌঁছায়। সেখান থেকে শিয়ালদা, রাজাবাজার, হাতিবাগান হয়ে শ্যামবাজার যায়। তবে এদিনের কর্মসূচিতে শুরু থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দাগতে থাকেন অধীর। মমতার ‘রক্ষা কবচ’ থেকে ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা নিয়ে কটাক্ষবাণ শানাতে দেখা যায় তাঁকে। এমনকী আবাস যোজনার টাকা না পাওয়ার জন্য ঘুরিয়ে তৃণমূল সরকারের দিকে আঙুল তোলেন তিনি। অধীর বলেন, “এই ১০০ দিনের কাজ, আবাস প্রকল্প কংগ্রেস এনেছে। সবার জন্য ঘর কে দিয়েছিল? আমরা। এতদিন কেউ জানত যে আবাস এর টাকা কেন্দ্র দিত? না জানত না। এখন জানে যখন দুর্নীতির জন্য কেন্দ্র টাকা বন্ধ করে দিয়েছে।”