কলকাতা: বাংলার সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি গ্রাউন্ড জিরোর রাজ্যপাল। শুধু রাজভবনে বসে নয়, বাংলার প্রতিটি কোনায় পৌঁছে গিয়ে, বাংলার মানুষের মনের কথা শুনেছেন তিনি। যখনই যেখানে গোলমালের কথা শুনেছেন, সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ছুটে গিয়েছেন সি ভি আনন্দ বোস। আগামিকাল রাজ্যপাল বোসের জন্মদিন। তার আগের সন্ধেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর থেকে বিশেষ বার্তা পেয়েছেন রাজ্যপাল বোস। বাংলার সাংবিধানিক প্রধানকে পাঠানো শুভেচ্ছাবার্তায় নমো লিখেছেন, “মানুষের পরিষেবায় আপনার বিশাল অভিজ্ঞতা দেশের কাছে সম্পদ।”
প্রধানমন্ত্রী আরও লিখেছেন, “মানব কল্যাণে ও দেশের সেবায় আপনি নিষ্ঠার সঙ্গে একটি মানদণ্ড স্থাপন করেছে, তা রাজ্যবাসীর উন্নয়নে সাহায্য করবে। আপনার দেখানো পথে, রাজ্যের উন্নয়ন নতুন উচ্চতা স্পর্শ করতে থাকুক।” শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই নন, জন্মদিনের আগের সন্ধেয় রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও। দেশের প্রতি রাজ্যপাল বোসের ‘একনিষ্ঠ সেবার’ কথা শুভেচ্ছাবার্তায় উল্লেখ করেছেন রাষ্ট্রপতি মুর্মু।
রাজ্যপাল বোসের সঙ্গে বাংলার যোগ দীর্ঘদিনের। এ রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার অনেক আগে, ব্যাঙ্কে কর্মরত জীবনে একটা বড় সময় কলকাতায় কাটিয়েছেন। তাঁর নামের পদবিতে বোসও এসেছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নামের থেকে। বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্বে আসার পর থেকে একাধিকবার তিনি বুঝিয়েছেন, বাংলার মানুষের জন্য তিনি কতটা ভাবিত। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় যেখানে যেখানে অশান্তির অভিযোগ পেয়েছেন, সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গিয়েছেন। কন্ট্রোল রুমের ধাঁচে রাজভবনে খুলেছিলেন পিস রুম। সম্প্রতি বিশ্বকাপের সময় যখন ইডেনের টিকিটের হাহাকার পড়ে গিয়েছিল, তখন ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য রাজভবনে জায়েন্ট স্ক্রিনের বন্দোবস্তও করেছিলেন তিনি।