কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)-এর ঘোষণা মাফিক পুজোর আগেই হবে টেটের (TET) ফলপ্রকাশ। সফল চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগপত্রও পেয়ে যাবেন দুর্গাপুজোর আগেই। মঙ্গলবার ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের।
কয়েক দিন আগেই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পুজোর আগে ১৪ হাজার আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। এছাড়াও প্রাইমারি শিক্ষক পদে নিয়োগ পাবেন ১০ হাজার ৫০০ জন। এই প্রক্রিয়া চলবে পুজোর পরও। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে এই ১০ হাজার ৫০০ জন নিয়োগ পুজোর আগেই হবে বলে জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুজোর আগে ১০,৫০০ জনকে নিয়োগ করা হবে প্রাথমিকে। সেই মতোই এগোচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
এই বছরের জানুয়ারি মাসে তৃতীয় দফার টেট পরীক্ষা হয়। তাতে আড়াই লক্ষ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। সেই পরীক্ষার ফল পুজোর আগে প্রকাশ করে হবে। তারপর আগামী সেপ্টেম্বর মাসের আগে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হবে জানিয়েছে পর্ষদ।
আগেই ৫,৬৫৬ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। তার মধ্যে ৫,১৪৬ জন কাজে যোগ দিয়েছেন। মেধার তালিকা অনুযায়ী তাঁদের আগেই নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছে। যে যে জেলা থেকে তারা আবেদন করেছেন সেখানে সেখানে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য। জানানো হয়, বাকি ১০,৫০০ পদের নিয়োগ সংক্রান্ত কাউন্সেলিংয়ের নির্ঘণ্ট নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
মঙ্গলবার থেকেই চাকরিপ্রার্থীরা জেনে যাবেন কোথায় এবং কীভাবে কাউন্সেলিং হবে। তারপর জেলা ভিত্তিক প্যানেল তৈরি করে নিয়োগ পত্র দেওয়া হবে। বোর্ড এবং স্কুল এডুকেশন ডিপার্টমেন্ট সব কিছু ধারাবাহিকভাবে জানিয়ে দিয়ে থাকে। তাই কোন ভাবে বিভ্রান্ত না হয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের দিকে নজর রাখার আবেদন জানিয়েছে পর্ষদ।
আরও পড়ুন: ১৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হবে উচ্চপ্রাথমিকে, সম্ভবত জুলাইতেই ইন্টারভিউ
মানিক ভট্টাচার্য বলেন, “বিধি অনুযায়ী আমরা নিয়োগ করছি। কোনও বেআইনি ভাবে নিয়োগ করছি না। প্রার্থীদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, NCTE আইন অনুযায়ীই কাজ হয়েছে। রাজ্য সরকার এই আইন করেনি।” তিনি আরও জানান, যে ৩১,৫০০ জন কোয়ালিফাই করেছেন সেখান থেকেই ১৬ হাজার জনকে নিয়োগ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৫,১৪৬ জনকে আগেই নিয়োগ করা হয়েছে। ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা পাশ করা এবং যাঁরা প্রশিক্ষিত তাঁদের এই নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে মেধা তালিকা অনুযায়ীই, জানান মানিকবাবু।