Progressive junior doctors association: এবার আসরে ‘সরকারপন্থী’ জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন, কেন নামতে হল ময়দানে?
Progressive junior doctors association: মঙ্গলবার তৃণমূলপন্থী জুনিয়র ডাক্তারেদর সংগঠন পিজেডিএ সাংবাদিক বৈঠক করে বলে, থ্রেট কালচার বাস্তব। একধাপ এগিয়ে ঋতুপর্ণা কয়াল, রাজীব বিশ্বাসরা বলেন, সন্দীপ ঘোষ, অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাসদের সঙ্গে থেকে থ্রেট কালচারের গাছে জলবাতাস দেওয়া জুনিয়র ডাক্তাররা এখন জেডিএ-র মুখ।
কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে প্রথম থেকে সরব ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট(জেডিএফ)। সেই আন্দোলনের মুখ অনিকেত মাহাতো, দেবাশিস হালদার, কিঞ্জল নন্দের মতো জুনিয়র ডাক্তাররা। গত শনিবার জেডিএফের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে আত্মপ্রকাশ করে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (জেডিএ) নামে একটি সংগঠন। আর দিন তিনেক পরে আসরে নামল প্রোগ্রেসিভ জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন(পিজেডিএ)। যারা নিজেদের সরকারপন্থী চিকিৎসক সংগঠন বলে জানাল। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে জেডিএ-কে আক্রমণ করল। এতদিন পর কেন তাঁরা ময়দানে নামলেন, সেকথাও তুলে ধরলেন এই সংগঠনের মহাসচিব ঋতুপর্ণা কয়াল এবং সম্পাদক রাজীব বিশ্বাস।
গত শনিবার থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন জেডিএ আত্মপ্রকাশ করে। সাংবাদিক বৈঠক করে সংগঠনের অন্যতম আহ্বাক জুনিয়র ডাক্তার শ্রীশ চক্রবর্তী বলেছিলেন, থ্রেট কালচারের অভিযোগ ভিত্তিহীন। জেডিএ-র সদস্য জুনিয়র ডাক্তাররা দাবি করেন, তাঁরাই থ্রেট কালচারের শিকার।
মঙ্গলবার তৃণমূলপন্থী জুনিয়র ডাক্তারেদর সংগঠন পিজেডিএ সাংবাদিক বৈঠক করে বলে, থ্রেট কালচার বাস্তব। একধাপ এগিয়ে ঋতুপর্ণা কয়াল, রাজীব বিশ্বাসরা বলেন, সন্দীপ ঘোষ, অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাসদের সঙ্গে থেকে থ্রেট কালচারের গাছে জলবাতাস দেওয়া জুনিয়র ডাক্তাররা এখন জেডিএ-র মুখ। পিজেডিএ’র বক্তব্য, তারাই আসল তৃণমূলপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন।
এতদিন পর কেন ময়দানে নামলেন তাঁরা? পিজেডিএ-র তরফে ঋতুপর্ণা কয়ালরা বলেন, তাঁরা প্রথম থেকে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন। এখন জেডিএফের আন্দোলন মুষ্টিমেয় কয়েকজন দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এখন ফ্রন্টের আন্দোলন বাম-অতি বাম নেতৃত্ব দ্বারা প্রভাবিত হওয়ায় তাঁরা পৃথক কর্মসূচি নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। কিছু লোক সরকারকে বদনাম করার চেষ্টা করছেন বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।
তৃণমূল পন্থী এই চিকিৎসক সংগঠনে তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেনের প্রভাব রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও এদিনের সাংবাদিক বৈঠক নিয়ে শান্তনু সেন বলেন, “প্রোগ্রেসিভ ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন তৈরি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই অংশ প্রোগ্রেসিভ জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। সরকারপন্থী বা শাসকদলপন্থী চিকিৎসক সংগঠন। কিন্তু, এখন কেন সাংবাদিক বৈঠক করলেন, তা নিয়ে কিছু বলতে পারব না।”