নয়া দিল্লি: পুজোর মুখে স্বস্তি তৃণমূলের। সম্পত্তি-বৃদ্ধি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ১৯ তৃণমূল নেতাকে স্বস্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে যান তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা-সহ অন্য নেতারা। ইডিকে মামলায় যুক্ত করার হাইকোর্টের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে গেল বৃহস্পতিবার। সম্পত্তি বৃদ্ধিতে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি বলে পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ করে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক নেতা মামলা দায়ের হয়। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে স্বর্ণকমল সাহা-সহ একাধিক তৃণমূল নেতা মামলা করেছিলেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এই রায় দিল দেশের শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টে তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়। মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, একাধিক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর সম্পত্তি ২০১১ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে বিপুল হারে বেড়েছে। এই তালিকায় নাম ছিল শোভন চট্টোপাধ্য়ায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মলয় ঘটক, অর্জুন সিং, গৌতম দেব, ইকবাল আহমেদ, ফিরহাদ হাকিম, স্বর্ণকমল সাহা, ব্রাত্য বসু, অরূপ রায়, জাভেদ খান, অমিত মিত্র, আব্দুর রজ্জাক মোল্লা, সুব্রত মুখোপাধ্যায় (প্রয়াত নেতা), সাধন পাণ্ডে (প্রয়াত নেতা), রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, শিউলি সাহা, সব্যসাচী দত্তর।
অগস্ট নাগাদ একটি জনস্বার্থ মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডিকে পার্টি করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা-সহ অন্যরা। তৃণমূল বিধায়কদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল এবং আইনজীবী সুহান মুখোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলা কিংবা গরুপাচার মামলা, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলদের গ্রেফতারির পর থেকেই শাসকদলের নেতা, মন্ত্রীদের সম্পত্তি, আয় ব্যয় নিয়ে বারবার সরব হয়েছে বিরোধীরা। এরইমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের মামলাটি নিয়ে বিস্তর চর্চা শুরু হয়। পুজোর মুখে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বেশ অনেকটাই স্বস্তিতে তৃণমূল।