কলকাতা: শিক্ষক বদলির নোটিস নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড। কখনও নবান্ন অভিযান। কখনও আদিগঙ্গা পার করে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন, কখনও আবার শিক্ষামন্ত্রীর নামে ‘মিসিং ডায়েরি’ — বছরের শুরু থেকেই রাজ্য সরকারের ‘অমানবিক’ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পথে শিক্ষকরা। সম্প্রতি যা চরম আকার নেয় মঙ্গলবার। ২৪ অগস্ট বিকাশ ভবনের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনিমা নাথ, শিখা দাস, জোৎস্না টুডু, পুতুল মণ্ডল ও ছবি দাস হাজরা নামের ৫ শিক্ষিকা ।
রাজ্যে শিক্ষকদের এমন ‘জীবন জলাঞ্জলি’ দিয়ে প্রতিবাদ শুধু বেনজিরই নয় আক্ষরিক অর্থেই লজ্জার। সরব বিরোধীরা। শাসকের পাল্টা শাসন, ‘…ওরা বিজেপি ক্যাডার’। এক দিকে যখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন জীবন নির্মাণের কারিগররা, তখন প্রশ্ন পাল্টা প্রশ্নে দায় এড়ানোর প্রতিযোগিতায় পক্ষ, প্রতিপক্ষ। সব মিলিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি।
শিক্ষকদের বিষপানের ঘটনায় কাঠগড়ায় শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চও। সাংগঠিনক সিদ্ধান্ত, নেতার নিদান না স্রেফ উত্তেজনায় বসেই গলায় গরল ঢাললেন ৫ শিক্ষিকা, উঠছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, জোৎস্না টু়ডু (৫৮) ছাড়া বাকি চার জন শিক্ষিকাই ষাটোর্ধ্ব। অবসরের আর বছর দুই বা তিনই বাকি। এমতাবস্থায় এমন চরম সিদ্ধান্ত নিলেন কেন তাঁরা?
ষাটোর্ধ্ব অনিমা নাথ একজন বৈষ্ণব। নিরামিষজীবী। কখনও মাছ, মাংস ছুঁয়ে পর্যন্ত দেখেননি। কপালে তিলক, তুলসী কণ্ঠী এই অনিমাকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে হাই মাদ্রাসায়। যার তীব্র বিরোধিতা করে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ। আন্দোলনকারিদের সাফ বক্তব্য, “এই সিদ্ধান্ত আসলে সাম্প্রদায়িক আঘাত।”
এখানেই শেষ নয়, রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে ‘অন্যায্য’ বলার পিছনে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ সামনে আনছে ছবি চাকি দাস হাজারার বদলির নোটিসও। সমগ্র শিক্ষা কেন্দ্রের এই শিক্ষিকা ১৯৯৭ সাল থেকে চুক্তি ভিত্তিক শিক্ষক। এতদিন শিক্ষাকতা করেছেন জিয়াগঞ্জের জৈনপুরে। যেখানে আগাগোড়াই পঠনপাঠন হয়ে এসেছে বাংলায়। তাঁকে কিনা বদলি করা হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার মাল ব্লকের হিন্দি মিডিয়াম শিক্ষাকেন্দ্রে!
অতীতে শিক্ষক বদলির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে দাবিপত্র তুলে দিয়েছেন অনিমা নাথ, ছবি চাকি দাস হাজরা, শিখা দাস, জোৎস্না টুডু, পুতুল মণ্ডলরা। ৪ ফেব্রুয়ারি কসবায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে নিজেদের দাবিসনদ তুলে দেন খোদ অনিমা দাস। জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধিতা করে এই অনিমাই কালো পতাকা দেখিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। প্রশ্ন, এই বিদ্রোহই কি বদলির কারণ?
বদলি নোটিসের কোপে শুধু অনিমা নাথ, ছবি চাকি দাস হাজরা, শিখা দাস, জোৎস্না টুডু, পুতুল মণ্ডলরাই নন। বিষপান বিতর্কের মধ্যে আজও বদলির ফরমান দিয়েছে রাজ্য সরকার। বদলির নোটিস পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে প্ল্যাকার্ড দেখানো ৩ প্রতিবাদী শিক্ষিকা অনিতা পাল দে, মধুমিতা সামন্ত, মিতালি পাল। শিক্ষক মহলের একাংশের মত, অতীতে দ্রোহ দেখিয়েই রাষ্ট্রের রোষানলে পড়েছেন অনিমারা। যার পুনরাবৃত্তি হল আজও। বদলির নোটিস পেলেন পুরসভার ৩ শিক্ষিকা।
কলকাতা: শিক্ষক বদলির নোটিস নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড। কখনও নবান্ন অভিযান। কখনও আদিগঙ্গা পার করে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন, কখনও আবার শিক্ষামন্ত্রীর নামে ‘মিসিং ডায়েরি’ — বছরের শুরু থেকেই রাজ্য সরকারের ‘অমানবিক’ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পথে শিক্ষকরা। সম্প্রতি যা চরম আকার নেয় মঙ্গলবার। ২৪ অগস্ট বিকাশ ভবনের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনিমা নাথ, শিখা দাস, জোৎস্না টুডু, পুতুল মণ্ডল ও ছবি দাস হাজরা নামের ৫ শিক্ষিকা ।
রাজ্যে শিক্ষকদের এমন ‘জীবন জলাঞ্জলি’ দিয়ে প্রতিবাদ শুধু বেনজিরই নয় আক্ষরিক অর্থেই লজ্জার। সরব বিরোধীরা। শাসকের পাল্টা শাসন, ‘…ওরা বিজেপি ক্যাডার’। এক দিকে যখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন জীবন নির্মাণের কারিগররা, তখন প্রশ্ন পাল্টা প্রশ্নে দায় এড়ানোর প্রতিযোগিতায় পক্ষ, প্রতিপক্ষ। সব মিলিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি।
শিক্ষকদের বিষপানের ঘটনায় কাঠগড়ায় শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চও। সাংগঠিনক সিদ্ধান্ত, নেতার নিদান না স্রেফ উত্তেজনায় বসেই গলায় গরল ঢাললেন ৫ শিক্ষিকা, উঠছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, জোৎস্না টু়ডু (৫৮) ছাড়া বাকি চার জন শিক্ষিকাই ষাটোর্ধ্ব। অবসরের আর বছর দুই বা তিনই বাকি। এমতাবস্থায় এমন চরম সিদ্ধান্ত নিলেন কেন তাঁরা?
ষাটোর্ধ্ব অনিমা নাথ একজন বৈষ্ণব। নিরামিষজীবী। কখনও মাছ, মাংস ছুঁয়ে পর্যন্ত দেখেননি। কপালে তিলক, তুলসী কণ্ঠী এই অনিমাকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে হাই মাদ্রাসায়। যার তীব্র বিরোধিতা করে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ। আন্দোলনকারিদের সাফ বক্তব্য, “এই সিদ্ধান্ত আসলে সাম্প্রদায়িক আঘাত।”
এখানেই শেষ নয়, রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে ‘অন্যায্য’ বলার পিছনে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ সামনে আনছে ছবি চাকি দাস হাজারার বদলির নোটিসও। সমগ্র শিক্ষা কেন্দ্রের এই শিক্ষিকা ১৯৯৭ সাল থেকে চুক্তি ভিত্তিক শিক্ষক। এতদিন শিক্ষাকতা করেছেন জিয়াগঞ্জের জৈনপুরে। যেখানে আগাগোড়াই পঠনপাঠন হয়ে এসেছে বাংলায়। তাঁকে কিনা বদলি করা হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার মাল ব্লকের হিন্দি মিডিয়াম শিক্ষাকেন্দ্রে!
অতীতে শিক্ষক বদলির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে দাবিপত্র তুলে দিয়েছেন অনিমা নাথ, ছবি চাকি দাস হাজরা, শিখা দাস, জোৎস্না টুডু, পুতুল মণ্ডলরা। ৪ ফেব্রুয়ারি কসবায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে নিজেদের দাবিসনদ তুলে দেন খোদ অনিমা দাস। জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধিতা করে এই অনিমাই কালো পতাকা দেখিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। প্রশ্ন, এই বিদ্রোহই কি বদলির কারণ?
বদলি নোটিসের কোপে শুধু অনিমা নাথ, ছবি চাকি দাস হাজরা, শিখা দাস, জোৎস্না টুডু, পুতুল মণ্ডলরাই নন। বিষপান বিতর্কের মধ্যে আজও বদলির ফরমান দিয়েছে রাজ্য সরকার। বদলির নোটিস পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে প্ল্যাকার্ড দেখানো ৩ প্রতিবাদী শিক্ষিকা অনিতা পাল দে, মধুমিতা সামন্ত, মিতালি পাল। শিক্ষক মহলের একাংশের মত, অতীতে দ্রোহ দেখিয়েই রাষ্ট্রের রোষানলে পড়েছেন অনিমারা। যার পুনরাবৃত্তি হল আজও। বদলির নোটিস পেলেন পুরসভার ৩ শিক্ষিকা।