কলকাতা : ২০১৪ সালে তাঁরা টেট পাশ করেছেন। এতদিনে দীর্ঘ সাত – আট বছর অতিক্রান্ত। অথচ এতদিন পরেও তাঁদের চাকরি হয়নি আজও। নিয়োগের এই অনিয়মের অভিযোগ নিজেদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন টেট উত্তীর্ণরা। তাঁদের অভিযোগ, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় যাঁরা পাশ করেননি, তাঁরাও আজ চাকরি করছেন। আর যাঁরা পাশ করেছেন, রীতিমতো ট্রেনিং নিয়েছেন, তাঁদের চাকরির জন্য রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হচ্ছে। এদিকে তাঁদের ৪০ বছর পেরিয়ে যাচ্ছে, বাড়ি ঘর বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আসার পরেও ডিএলএড-পাশ চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ হচ্ছে না। এখনও তাঁদের বঞ্চিত করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন তাঁদের দাবি, তারা আজ এটা ট্রেলার দেখালো মাত্র এরপর তারা আরো এগোবে আরো পদক্ষেপ নেবে।এবং আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ডি এল এড চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ চাই। এক চাকরিপ্রার্থী জানিয়েছেন, “আমরা প্রত্যেকেই ডিএলএড প্রশিক্ষিত। প্রাথমিকের ক্ষেত্রে এটা পূর্ণ প্রশিক্ষণের কোর্স। মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ২০১৪ সালে যারা টেট পাস করেছেন এবং প্রশিক্ষিত রয়েছেন, তাদের সকলের নিয়োগ হবে। কিন্তু আমরা যাঁরা পূর্ণ প্রশিক্ষিত প্রাথমিকের ক্ষেত্রে, তাদেরই আজ নিয়োগ হল না।”
আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, “আমরা পাশ করে রয়ে গেলাম। প্রশিক্ষণ করে রয়ে গেলেন। এমনকী সুপ্রিম কোর্টের একটা আদেশ আছে। তা সত্ত্বেও আমরা রয়ে গেলাম। রাজস্থানের ডিভিশন বেঞ্চ ডিএলএডকে প্রাইমারিতে বৈধ বলে ঘোষণা করল। তারপরেও কীভাবে প্রাথমিকে ডিএলএডরা বাদ যান? এর উত্তর কীভাবে দেবেন ?”
সংবাদ মাধ্যমের সামনে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের কেউ এসেছেন বাঁকুড়া থেকে, কেউ পুরুলিয়া থেকে, কেউ মেদিনীপুর থেকে। এমনকী উত্তরবঙ্গ থেকেও এসেছেন কেউ কেউ। এই চাঁদিফাটা রোদ্দুর আর গরমের অস্বস্তিকে উপেক্ষা করে সবাই জড়ো হয়েছেন, নিজেদের দাবি রাজ্য সরকারের কান পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য। তাঁদের প্রশ্ন, “কেন পূর্ণ প্রশিক্ষণের পরেও আমাদের রাস্তায় নামতে হবে পূর্ণ প্রশিক্ষণের পরেও?”
আরও পড়ুন : Teacher Transfer: শিক্ষক বদলির ‘দাম’ ১ লাখ ২৫ হাজার! এজলাসে অডিয়ো রেকর্ডিং শুনলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়