কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত একাধিক মামলায় বিডিও-দের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কলকাতা হাইকোর্টে। এবার ভোট সংক্রান্ত এক মামলায় বিচারপতি প্রশ্ন তুললেন মহকুমা শাসকের ভূমিকা নিয়েও। এক তৃণমূল প্রার্থীর ওবিসি শংসাপত্র নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। ওই প্রার্থী দুর্গাপুরের বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও কেন তিনি সংশাপত্র নিলেন আসানসোল থেকে? এই উত্তর চেয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আগামী ১৮ অগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হওয়ার পর প্রায় এক মাস কেটে গেলেও মামলার পর মামলা এখনও জমা হচ্ছে আদালতে। অভিযোগের ধরনও ভিন্ন ভিন্ন। একটি মামলায় অভিযোগ উঠেছে, ওবিসি-দের জন্য সংরক্ষিত আসনে যিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, তাঁর ওবিসি শংসাপত্র নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের উখরা ১১ নম্বর বুথের প্রার্থীকে নিয়ে অভিযোগ। ২৯ জুন পর্যন্ত ওই আসন জেনারেল ক্যাটাগরির জন্য নির্ধারিত বলে উল্লেখ করা হয় কমিশনের ওয়েবসাইটে। এরপর হঠাৎই ওয়েবসাইটে বদলে যায় আসন সংরক্ষণের বিষয়টি। উল্লেখ করা হয়, ওই বুথ ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত।
এরপরই তৃণমূলের প্রার্থী অনিল বর্নোয়ালের ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত হাওয়ার বিষয়টি নিয়ে নতুন অভিযোগ ওঠে। হাইকোর্টে মামলা হয়। মামলায় বার্নোয়ালের দেওয়া নথিতে দেখা গিয়েছে, তিনি পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর মহকুমার বাসিন্দা। কিন্তু তাঁকে ওবিসি হিসেবে সার্টিফিকেট দিয়েছে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল মহকুমা প্রশাসন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে হলফনামা তলব করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ, এবার তো মহকুমা শাসকদের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে হবে।