কলকাতা: করোনা পরিস্থিতির কারণে কি পিছিয়ে যাবে মাধ্যমিক (Madhyamik) ও উচ্চ মাধ্যমিক (Higher Secondary) পরীক্ষা? রাজ্যের বিভিন্ন মহলে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এই নিয়ে। কারণ, করোনার (COVID 19) সংক্রমণ বাড়তে থাকার জন্য ব্যাহত হচ্ছে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের প্রস্তুতি। বিগত বছরগুলিতে এই সময়ে ছাপার জন্য চলে যেত প্রশ্ন। কিন্তু এবারে উদ্ধুত করোনা পরিস্থিতিতে অনেকটাই ধীরে চলছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
আরও দিন দশেক পরিস্থিতির উপর সজাগ নজর রেখে, যাবতীয় দিক খতিয়ে দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। বাতিল হয়েছে জানুয়ারি মাসের সব জেলা বৈঠক। এই বছর প্রথম হোম সেন্টারেই পরীক্ষা হতে চলেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে জেলাস্তরের বৈঠকগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে পরীক্ষা করতে মরিয়া সংসদ। কিন্তু পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে গেলে, সেই ক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে কথা বলে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বার বার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে রাজ্যের তথা গোটা দেশের শিক্ষা পরিকাঠামো। বিভিন্ন সময়ে কখনও স্কুল বন্ধ, কখনও অনলাইন ক্লাসের মতো সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে করোনার কারণে। পরীক্ষা ব্যবস্থা তথা পড়ুয়াদের সার্বিক মূল্যায়নের উপরেও তার প্রভাব পড়তে দেখা গিয়েছে। এবার যখন রাজ্যে ফের একবার করোনার বাড়বাড়ন্ত, তখন কি আবার মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার উপর তার প্রভাব পড়তে চলেছে?
মধ্য শিক্ষা পর্যদ এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে খবর, উভয় সংস্থাই মরিয়াভাবে চাইছে, পরীক্ষা হোক। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন রাজ্যের কোভিড গ্রাফ হু হু করে বাড়ছে, তখন মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের যে প্রস্তুতি পর্বের বিশাল কর্মযজ্ঞ থাকে, তা বাধা পাচ্ছে। তবে সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, তিনি পরীক্ষা করাতে মরিয়া। তবে বিগত বছরগুলিতে এই সময়ের মধ্যে প্রশ্নপত্র ছাপার জন্য চলে যাওয়ার কথা ছিল ছাপার জন্য, কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে, তা এখনও হয়ে ওঠেনি। ফলে, যদি পরীক্ষার জন্য কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়, সেক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে, পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
সূত্রের খবর, সংসদ ও পর্ষদেও একাধিক কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর পাশাপাশি, যেহেতু এবার হোম সেন্টারগুলিতেই পরীক্ষা হবে অর্থাৎ, যেহেতু পড়ুয়ারা নিজ নিজ স্কুলেই পরীক্ষা দেবে, সেখানে দাঁড়িয়ে জেলা স্তরের বৈঠকগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে জানুয়ারি মাসের সব জেলাস্তরের বৈঠকগুলি বাতিল করতে হয়েছে।