R G Kar Hospital: হাড়ে কত নম্বর স্ক্রু লাগবে, তা নিয়ে OT-তেই হাতাহাতি RG Kar ডাক্তারদের, তা দেখে রোগীর আত্মারাম খাঁচাছাড়া অবস্থা!

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Feb 20, 2023 | 3:16 PM

R G Kar Hospital: ওই রোগী বলেন, "ওটিতে কী হচ্ছে, সব শুনেছি। একজন বলছেন, এটা এমনভাবে হয়না, ১৮ নম্বর লাগা। ঠেলাঠেলি পর্যন্ত চলে, কেউ একজন ওদের সরিয়ে নিয়ে বাইরে চলে যান।"

Follow Us

কলকাতা: অপারেশন থিয়েটারের টেবিলে শুয়ে রয়েছেন রোগী। তাঁর অস্ত্রোপচার হচ্ছে। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু ভুল অস্ত্রোপচার করা নিয়ে ওটি-র মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন অপারেশনের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা। রোগীর পাশে হাড় ফুটো করা যন্ত্র চালু করা অবস্থাতেই এক জন চিকিৎসক মারতে ছুটলেন আরেক জন চিকিৎসকের দিকে। এই ঘটনা কোনও বেসরকারি হাসপাতালের নয়, কোনও দূরদূরান্তের জন্য, খোদ আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের। সরকারি হাসপাতালের একাধিক বিষয় সামনে এসেছে এর আগেও, কিন্তু এই ঘটনা একেবারেই নজিরবিহীন। প্রশ্নের মুখে চিকিৎসা ব্যবস্থা। TV9 বাংলার হাতে এক্সক্লুসিভ সেই ছবি।

আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শুক্রবার বিকাল পাঁচটার সময়ে যা ঘটেছে, তা নজিরবিহীন, বলছে চিকিৎসকসমাজই।

কী ঘটেছিল ওটিতে?

ট্রমা কেয়ারে বঙ্গভঙ্গ বিভাগে বিকাল পাঁচটায় বীরভূমের বাসিন্দা সৌরভকান্তি শীলের অস্ত্রোপচার চলছিল। অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নেতৃত্বে ইউনিটে অস্ত্রোপচার চলছিল। সাইকেল থেকে পড়ে তাঁর বাঁ হাতের কনুইয়ের জয়েন্টের হাড় ভেঙে গিয়েছিল। সেই হাতেরই অস্ত্রোপচার হচ্ছিল। চার জন চিকিৎসকের দল ছিল। সেই সময় প্রথম যে চিকিৎসক স্ক্র লাগাচ্ছিলেন, তা নিয়ে সমস্যা হয়। যেখানে ২২, ২৪ নম্বর স্ক্রু লাগানোর কথা, চিকিৎসক ১৬ ও ১৮ নম্বর স্ক্রু লাগিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। অপর একজন চিকিৎসক তার প্রতিবাদ করেন। তিনি জানিয়েছিলেন, ২২ ও ২৪ নম্বর স্ক্রু লাগানো উচিত ছিল। যে ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে শোনা যাচ্ছে, অপর আরও এক জন চিকিৎসক বলেন, “২২ আর ২৪, আরও দুটো স্ক্রু লাগিয়ে দে।” তখন আরেক চিকিৎসক পরামর্শ দেন, এইভাবে স্ক্রু লাগালে রোগীর হাড় দুর্বল হবে। তখন ঠিক করা হয় ১৬ নম্বর স্ক্রু খোলা হয়, তারপর লাগানো হয় ২০ নম্বর স্ক্রু। তখনই হয় ঝামেলার সূত্রপাত। কে বেশি জানেন? তা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়, তারপরই হাতাহাতি। ওটিতে তখনও চোখে গজ ব্যান্ডেজ পরা অবস্থায় শুয়ে রয়েছেন রোগী, পাশে সক্রিয় হাড় ফুটো করার মেশিন। রোগীর লোকাল অ্যানাস্থেসিয়া করা হয়েছে, কিন্তু ওটি-তে কী ঘটছে, তা তিনি সবটাই শুনেছেন-বুঝেছেন।


ওই রোগী বলেন, “ওটিতে কী হচ্ছে, সব শুনেছি। একজন বলছেন, এটা এমনভাবে হয়না, ১৮ নম্বর লাগা। ঠেলাঠেলি পর্যন্ত চলে, কেউ একজন ওদের সরিয়ে নিয়ে বাইরে চলে যান।”

এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক সংগঠনের নেতা সুদীপ্ত রায় বলেন, “ব্যাপারটা খুব সিরিয়াস। আমি খোঁজখবর করছি। আমি পদক্ষেপ করব।” হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

কলকাতা: অপারেশন থিয়েটারের টেবিলে শুয়ে রয়েছেন রোগী। তাঁর অস্ত্রোপচার হচ্ছে। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু ভুল অস্ত্রোপচার করা নিয়ে ওটি-র মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন অপারেশনের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা। রোগীর পাশে হাড় ফুটো করা যন্ত্র চালু করা অবস্থাতেই এক জন চিকিৎসক মারতে ছুটলেন আরেক জন চিকিৎসকের দিকে। এই ঘটনা কোনও বেসরকারি হাসপাতালের নয়, কোনও দূরদূরান্তের জন্য, খোদ আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের। সরকারি হাসপাতালের একাধিক বিষয় সামনে এসেছে এর আগেও, কিন্তু এই ঘটনা একেবারেই নজিরবিহীন। প্রশ্নের মুখে চিকিৎসা ব্যবস্থা। TV9 বাংলার হাতে এক্সক্লুসিভ সেই ছবি।

আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শুক্রবার বিকাল পাঁচটার সময়ে যা ঘটেছে, তা নজিরবিহীন, বলছে চিকিৎসকসমাজই।

কী ঘটেছিল ওটিতে?

ট্রমা কেয়ারে বঙ্গভঙ্গ বিভাগে বিকাল পাঁচটায় বীরভূমের বাসিন্দা সৌরভকান্তি শীলের অস্ত্রোপচার চলছিল। অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নেতৃত্বে ইউনিটে অস্ত্রোপচার চলছিল। সাইকেল থেকে পড়ে তাঁর বাঁ হাতের কনুইয়ের জয়েন্টের হাড় ভেঙে গিয়েছিল। সেই হাতেরই অস্ত্রোপচার হচ্ছিল। চার জন চিকিৎসকের দল ছিল। সেই সময় প্রথম যে চিকিৎসক স্ক্র লাগাচ্ছিলেন, তা নিয়ে সমস্যা হয়। যেখানে ২২, ২৪ নম্বর স্ক্রু লাগানোর কথা, চিকিৎসক ১৬ ও ১৮ নম্বর স্ক্রু লাগিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। অপর একজন চিকিৎসক তার প্রতিবাদ করেন। তিনি জানিয়েছিলেন, ২২ ও ২৪ নম্বর স্ক্রু লাগানো উচিত ছিল। যে ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে শোনা যাচ্ছে, অপর আরও এক জন চিকিৎসক বলেন, “২২ আর ২৪, আরও দুটো স্ক্রু লাগিয়ে দে।” তখন আরেক চিকিৎসক পরামর্শ দেন, এইভাবে স্ক্রু লাগালে রোগীর হাড় দুর্বল হবে। তখন ঠিক করা হয় ১৬ নম্বর স্ক্রু খোলা হয়, তারপর লাগানো হয় ২০ নম্বর স্ক্রু। তখনই হয় ঝামেলার সূত্রপাত। কে বেশি জানেন? তা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়, তারপরই হাতাহাতি। ওটিতে তখনও চোখে গজ ব্যান্ডেজ পরা অবস্থায় শুয়ে রয়েছেন রোগী, পাশে সক্রিয় হাড় ফুটো করার মেশিন। রোগীর লোকাল অ্যানাস্থেসিয়া করা হয়েছে, কিন্তু ওটি-তে কী ঘটছে, তা তিনি সবটাই শুনেছেন-বুঝেছেন।


ওই রোগী বলেন, “ওটিতে কী হচ্ছে, সব শুনেছি। একজন বলছেন, এটা এমনভাবে হয়না, ১৮ নম্বর লাগা। ঠেলাঠেলি পর্যন্ত চলে, কেউ একজন ওদের সরিয়ে নিয়ে বাইরে চলে যান।”

এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক সংগঠনের নেতা সুদীপ্ত রায় বলেন, “ব্যাপারটা খুব সিরিয়াস। আমি খোঁজখবর করছি। আমি পদক্ষেপ করব।” হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Next Article