কলকাতা: আর জি কর হাসপাতাল (R G Kar Hospital) চিকিৎসক পড়ুয়াদের আমরণ অনশন কি উঠবে? কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে আজ, শুক্রবার স্বাস্থ্য ভবনে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের সঙ্গে চিকিৎসক পড়ুয়াদের বৈঠক। সেই বৈঠকের উপরেই নির্ভর করছে অনশন উঠবে কি না। স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পরে অনশন ওঠার ব্যাপারে আশাবাদী সরকারি চিকিৎসকদের একাংশ।
আরজিকর হাসপাতালের অচলাবস্থা কাটাতে উদ্যোগী হাইকোর্ট। ২৫ অক্টোবর ইন্টার্নদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অনশন তুলে নেওয়ারও আবেদনও জানানো হয় সেদিন। তবে অনশনে অনড় পড়ুয়ারা। তাঁরা জানিয়েছেন, রোগীদের কোনও সমস্যায় পড়তে হবে না। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২ নভেম্বর। সেদিনই ঠিক হয়, ২৯ অক্টোবর অর্থাত্ আজ স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন আন্দোলনরত পড়ুয়াদের প্রতিনিধিরা।
পড়ুয়ারা নিজেদের দাবি স্বাস্থ্যসচিবকেই বলতে চান বলে জানান। প্রিন্সিপ্যালের পদত্যাগের দাবিতে তাঁরা অনড়। তাঁরা এই বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গেও কথা বলতে চান বলে জানান আন্দোলনকারীরা। ই বৈঠকে কোনও একটি সমাধানসূত্র বের হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এজি হাইকোর্টে সওয়াল করেন, আরজিকর হাসপাতালে যেন মাইকিং, মিছিল করা না হয়। প্রতিবাদ যেন শান্তিপূর্ণ হয়। সকালে যখন আদালতকক্ষে মামলাটি ওঠে, তখন আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
মামলাকারীর পক্ষ থেকে বলা হয়, আন্দোলনের জেরে হাসপাতালের মূল গেটে জমায়েত হচ্ছে। ট্রাফিক বিঘ্নিত হচ্ছে। রোগী পরিষেবা যাতে ব্যাহত না হয়, তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে। আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি এ বিষয়ে কথা বলে আদালত। ২৯ অক্টোবর স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকের আগেও যেন রোগী পরিষেবায় কোনও ঘাটতি না ঘটে।
বিচারপতি দেবাংশু বসাকের তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য, “গত কয়েকদিনে ডিসচার্জ করা রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি।” বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে গত কয়েকদিনে। এই বিষয়টি এদিন নিজেই তুলে ধরেন বিচারপতি।
এসএসকেএমের নার্সেস ইউনিটির আন্দোলন তোলার জন্য সরকারপক্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছিল, আরজিকরের এই আন্দোলনের ক্ষেত্রেও সরকার একই পদক্ষেপ করবে। সেই সম্ভাবনার খবর সম্প্রচারিত করেছিল TV9 বাংলা। ঘটনাচক্রে দেখা যায়, জনৈক এক ব্যক্তি আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বলা হয়, অতিমারি পরিস্থিতিতে হাসপাতালে এইভাবে আন্দোলন চালানো যায় না। জুনিয়র চিকিত্সকরা সেই কাজটাই করছেন। এই পরিস্থিতিতে জুনিয়র চিকিত্সকরা কর্তৃপক্ষকে একটা বার্তা দিয়ে রাখলেন, যে তাঁরা আন্দোলনে আছেন, কর্মবিরতিতে নেই।
আরও পড়ুন: নতুন ভোরের আশ্বাস নিয়ে তাঁর সফর-গোয়া, দিনভর ঠাসা কর্মসূচি মমতার
আরও পড়ুন: আকাশের মুখ ভার, তবে কি ফের বৃষ্টি কলকাতা? তারপরই কী শীত? কী বলছেন আবহাওয়াবিদররা?