R G Kar Hospital: আরজি কর হাসপাতালের অচলাবস্থা কি কাটার পথে? কাজে ফিরতে চেয়ে ইন্টার্নদের চিঠি

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 23, 2021 | 4:48 PM

R G Kar Hospital: এখনও জিইয়ে রয়েছে অভ্যন্তরীণ অশান্তি। অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে এখনও সোচ্চার হবু চিকিত্সকরা। ২০ দিন ধরে টানা আন্দোলন চলছিল।

R G Kar Hospital: আরজি কর হাসপাতালের অচলাবস্থা কি কাটার পথে? কাজে ফিরতে চেয়ে ইন্টার্নদের চিঠি
আর জি কর হাসপাতালের অচলাবস্থা কি কাটার পথে? (ফাইল ছবি)

Follow Us

কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালের (R G kar Hospital) অচলাবস্থা এবার কি কাটার পথে? তেমনটাই মনে করছেন অনেকে। কাজে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছেন ইন্টার্নরা।

শনিবার সকাল থেকেই আরজিকর হাসপাতালের চিত্রটা বলে দিচ্ছিল অনেক কিছু। সকালে পিজিটিরা কালো ব্যাজ় পরে কাজে যোগ দেন। পরবর্তীতে দেখা যায় কাজে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে চিঠি দেন ইন্টার্নরা। সেই দিকটা মাথায় রেখেই মনে করা হচ্ছে, ২০ দিন পর আরজিকর হাসপাতালের অচলাবস্থা কাটার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

কিন্তু এখনও জিইয়ে রয়েছে অভ্যন্তরীণ অশান্তি। অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে এখনও সোচ্চার হবু চিকিত্সকরা। ২০ দিন ধরে টানা আন্দোলন চলছিল। এর আগে সপ্তাহের শুরুতেই পিজিটিদের উদ্দেশে একটি নোটিস জারি করেন কর্তৃপক্ষ। তাতে বলা হয়, যদি তাঁরা কাজে যোগ না দেন, তাহলে তাঁদের নামের পাশে অনুপস্থিত বলে উল্লেখ করা হবে। অর্থাত্ তাঁরা ডিউটি রোস্টারে অনুপস্থিত বলে গণ্য হবে। এরপরই দেখা যায় পিজিটি চিকিত্সকরা আন্দোলন মঞ্চ থেকে সরে আসেন।

এরপর কর্তৃপক্ষ চাইছে যাতে ইউজি আন্দোলনরত পড়ুয়ারাও ক্লাসে যোগ দেন। সামনেই ওয়েস্ট বেঙ্গল স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার আগে উপস্থিতির হার নিয়ে নোটিস জারি করলেন কর্তৃপক্ষ। থিওরি ক্লাস পড়ুয়াদের ৭৫ শতাংশ হাজিরা, প্র্যাকটিক্যালে ৮০ শতাংশ হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু অনশনকারী পড়ুয়ারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনওরকম চাপের মুখে মাথা নত করবে না তাঁরা।

প্রসঙ্গত, এসএসকেএমের নার্সেস ইউনিটির আন্দোলন তোলার জন্য সরকারপক্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছিল, আরজিকরের এই আন্দোলনের ক্ষেত্রেও সরকার একই পদক্ষেপ করবে। সেই সম্ভাবনার খবর সম্প্রচারিত করেছিল TV9 বাংলা। ঘটনাচক্রে দেখা যায়, জনৈক এক ব্যক্তি আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় বলা হয়, অতিমারি পরিস্থিতিতে হাসপাতালে এইভাবে আন্দোলন চালানো যায় না। জুনিয়র চিকিত্সকরা সেই কাজটাই করছেন। এই পরিস্থিতিতে জুনিয়র চিকিত্সকরা কর্তৃপক্ষকে একটা বার্তা দিয়ে রাখলেন, যে তাঁরা আন্দোলনে আছেন, কর্মবিরতিতে নেই।

হাসপাতালের ডেপুটি স্পিকার বলেন, “দু-তিন দিনের মধ্যে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে। পিজিটিরা কাজে যোগ দিয়েছেন। বাড়তি রোগী ভর্তি হচ্ছেন। সংখ্যাটা ৭৫-১০০। যদিও এখনও হাসপাতালের অনেক বেড খালি রয়েছে। কোনও ওয়ার্ডেই ভর্তি হতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না।”

এদিকে, অনশনরত সন্তানদের পাশে দাঁড়াতে মঞ্চে এবার অভিভাবকরা। অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পদত্যাগের দাবিকে নৈতিক সমর্থন জানিয়ে করলেন প্রতীকী অনশন।

তাঁদের বক্তব্য, অন্য কোনও অধ্যক্ষের সময় তো সমস্যা হয়নি? সন্তানদের চিকিৎসক করার জন্য অধ্যক্ষের হাতে সন্তানদের সঁপে দিয়েছিলাম। সেই অধ্যক্ষের এমন দাম্ভিক আচরণ কেন? প্রশ্ন অভিভাবকদের। এক অনশনকারী ছাত্রের মায়ের আবেদন, “উৎসবের সময় না খেয়ে ছেলেমেয়েগুলো বসে রয়েছে। মায়ের বুক ফাটে না।”

অনশন মঞ্চে হাজির অভিভাবকেরা বলছেন, “মুখ্যমন্তী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন। একজন ছাত্র অনশনের জেরে সিসিইউয়ে চিকিৎসাধীন। প্লিজ কিছু করুন।” হাতজোড় করে আর্জি মায়েদের।

আরও পড়ুন: Covid19 in Kolkata: ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় আক্রান্ত ৪৪৯! টিকার দুই ডোজ় নিয়েও বাড়ছে সংক্রমণ

 

Next Article