R G Kar Hospital: ৮০ শতাংশ উপস্থিতির হার না পরীক্ষায় বিপদ! আন্দোলনরত হবু ডাক্তারদের টলাতে এবার হাজিরা নিয়ে কড়াকড়ি

R G Kar Hospital: উল্লেখ্য, সপ্তাহের শুরুতেই পিজিটিদের উদ্দেশে একটি নোটিস জারি করেন কর্তৃপক্ষ। তাতে বলা হয়, যদি তাঁরা কাজে যোগ না দেন, তাহলে তাঁদের নামের পাশে অনুপস্থিত বলে উল্লেখ করা হবে।

R G Kar Hospital: ৮০ শতাংশ উপস্থিতির হার না পরীক্ষায় বিপদ! আন্দোলনরত হবু ডাক্তারদের টলাতে এবার হাজিরা নিয়ে কড়াকড়ি
আর জি করে বিভাগ পরিদর্শনে মেন্টররা (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 22, 2021 | 11:57 AM

কলকাতা: আর জি কর মেডিক্যালে (RG Kar Hospital) হাজিরা নিয়ে কড়াকড়ি। পড়ুয়াদের হাজিরার নোটিস কর্তৃপক্ষের। থিওরি ক্লাসে পড়ুয়াদের ৭৫ শতাংশ হাজিরা, প্র্যাকটিক্যালে ৮০ শতাংশ হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে হাজিরার কথা বলে পিজিটি-দের কাজে ফেরায় কর্তৃপক্ষ। অনশতরত ইউজি পড়ুয়াদের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, সপ্তাহের শুরুতেই পিজিটিদের উদ্দেশে একটি নোটিস জারি করেন কর্তৃপক্ষ। তাতে বলা হয়, যদি তাঁরা কাজে যোগ না দেন, তাহলে তাঁদের নামের পাশে অনুপস্থিত বলে উল্লেখ করা হবে। অর্থাত্ তাঁরা ডিউটি রোস্টারে অনুপস্থিত বলে গণ্য হবে। এরপরই দেখা যায় পিজিটি চিকিত্সকরা আন্দোলন মঞ্চ থেকে সরে আসেন।

এরপর কর্তৃপক্ষ চাইছে যাতে ইউজি আন্দোলনরত পড়ুয়ারাও ক্লাসে যোগ দেন। সামনেই ওয়েস্ট বেঙ্গল স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার আগে উপস্থিতির হার নিয়ে নোটিস জারি করলেন কর্তৃপক্ষ। থিওরি ক্লাসে পড়ুয়াদের ৭৫ শতাংশ হাজিরা, প্র্যাকটিক্যালে ৮০ শতাংশ হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাতে কর্তৃপক্ষের একাংশ মনে করছে, আন্দোলনরত পড়ুয়াদের অনেকেই কাজে যোগ দেবেন। ফলে রোগী পরিষেবার হাল ফিরবে।

যদিও অনশনরত পড়ুয়ারা জানিয়ে দিয়েছেন, কোনওরকম চাপ বা হুমকির মুখে মাথা নত করবেন না তাঁরা। প্রিন্সিপ্যালের পদত্যাগের দাবিতে তাঁদের যে আন্দোলন চলছে, তা চলবেই।

এদিকে,স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সরব জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস। দুর্নীতি নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্ত ও দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিল চিকিত্‍সকদের সংগঠন। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অচলাবস্থা মেটাতেও মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন চিকিত্‍সকেরা। বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করানোর দাবিও জানিয়েছে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস।

আরজি কর হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের টানা আন্দোলনে রোগী-পরিষেবার বেহাল দশা। পড়ুয়াদের আন্দোলন নিয়ে অস্বস্তিতে কর্তৃপক্ষ। তার মধ্যেই এক কেলেঙ্কারি ফাঁসে কপালে ভাঁজ আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। অভিযোগ, ৬৬ লক্ষ টাকার স্টেন্ট নয়ছয় (Stent Scam) হয়েছে হাসপাতালে। তার রহস্য সন্ধানে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে টিভি নাইন বাংলার হাতে।

কী সেই অভিযোগ? স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, সময় মতো ব্যবহার না হওয়ায় হাসপাতালের ইন্ডোর এমার্জেন্সি ফার্মাসিতে পড়ে পড়ে নষ্ট হয়েছে ২২১টি স্টেন্ট। ইন্ডোর এমার্জেন্সি ফার্মাসিতে স্টেন্ট থাকা সত্ত্বেও নতুন করে স্টেন্টের বরাত দেওয়া হয়েছিল। যার প্রত্যেকটির দাম ছিল ৩০ হাজার টাকা!

সূত্রের খবর, ডেপুটি ডিরেক্টর হেলথ সার্ভিস প্রশান্ত বিশ্বাসের নেতৃত্বাধীন কমিটি গত ১১ অক্টোবরই ওই কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে। ডিডিএইচএস-র রিপোর্ট সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত ১ অক্টোবর হাসপাতালের ডেপুটি সুপার স্টোর বিল্ডিং পরিদর্শন করতে গিয়ে আবিষ্কার করেন ২২১ টি স্টেন্ট স্রেফ পড়ে পড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এদের এক একটির দাম ৩০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে ৬৬ লক্ষ টা কার স্টেন্ট নষ্ট হয়েছে পড়ে পড়ে। হার্টের ব্লক সারাতে ব্যবহৃত হওয়া যে বহুমূল্য স্টেন্ট নষ্ট হল তাতে ২০০ জনের বেশি রোগী উপকৃত হতেন।

এদিকে এর পর এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। তাতে উঠে আসে আরেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ডক্টরস ফোরাম প্রথম থেকেই আরজি কর হাসপাতালের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে এসেছে। তার ফলস্বরূপ দেখা গিয়েছে, দুই চিকিত্সকের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের হয়।

আরও পড়ুন: RG Kar: পড়ুয়া আন্দোলনের মাঝে আরজি করের কেলেঙ্কারি ফাঁস! ৬৬ লাখের স্টেন্ট নষ্ট নিয়ে জোর চাপানউতোর