R G Kar: রহস্য লুকিয়ে ৫৪-তেই! তিলোত্তমার বাবা কী জানাতেই ‘ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন বিচারপতি…’?
R G Kar: তিলোত্তমার বাবা বলেন, "আমাদের ৫৪ টা প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। আদালতের কাছে আমরা সেই ৫৪ টা প্রশ্ন রেখেছি, তার উত্তর পেতে চাই। আদালত কীভাবে সে প্রশ্নের উত্তর দেবে, সেটা আদালতকেই ভাবনাচিন্তা করতে হবে। বিচারপতি আজকে যে কথা বলেছেন, তাতে বোঝাই গিয়েছে, তিনি ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছেন।"

কলকাতা: গণধর্ষণ? এর সঙ্গে সঞ্জয় রাই ছাড়াও কি আরও কেউ জড়িত। হাইকোর্টে শুনানির প্রথম দিনই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সিবিআই-এর কাছে জানতে চান। সিবিআই আদালতের কাছে আরও খানিকটা সময় চেয়ে নিয়েছে। এদিকে, রাজ্য়ের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, তাদের নতুন করে তদন্তে কোনও আপত্তি নেই, কিন্তু আদতে কি বিচার শেষ হওয়ার পরও নতুন করে তদন্ত হতে পারে? সে প্রশ্নও তোলে রাজ্য। এদিকে, আদালতের কাছে ৫৪ টা প্রশ্ন রেখেছে তিলোত্তমার পরিবার।
এদিনের শুনানি শেষে তিলোত্তমার বাবা কিছুটা হলেও সন্তুষ্ট! কিন্তু রাজ্য সরকারের অবস্থান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। তিলোত্তমার বাবা বলেন, “রাজ্য সরকার একদিকে বলছে, আবারও তদন্তে তাদের কোনও আপত্তি নেই। আবার আইনের দিক থেকে বাধা দেখাচ্ছে। তারা কী যে সঠিক কথা বলতে চাইছে, তা পরিষ্কার করে বলছে না। সেই ৯ তারিখ থেকে রাজ্য সরকারের যে চরিত্রটা দেখে আসছি, সেটা এখানেও তুলে ধরলেন।”
প্রসঙ্গত, প্রথম থেকেই তিলোত্তমার পরিবার সিবিআই- তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছিল। তাদের বক্তব্য, অনেক রহস্যের উদ্ঘাটন হয়নি সিবিআই তদন্তে। তাই পরিবারের সদস্যেরা চাইছেন, মামলায় আরও তদন্ত করে দেখুক ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
তিলোত্তমার বাবা বলেন, “আমাদের ৫৪ টা প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। আদালতের কাছে আমরা সেই ৫৪ টা প্রশ্ন রেখেছি, তার উত্তর পেতে চাই। আদালত কীভাবে সে প্রশ্নের উত্তর দেবে, সেটা আদালতকেই ভাবনাচিন্তা করতে হবে। বিচারপতি আজকে যে কথা বলেছেন, তাতে বোঝাই গিয়েছে, তিনি ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছেন।”
তিলোত্তমার মাও এদিনের শুনানিতে কিছুটা আশ্বস্ত হয়ে জানান, মনে হচ্ছে কিছুটা বিচারের দিকে এগোচ্ছে। তাঁর কথায়, “বারবার চেষ্টা করেও সিবিআই-কে আমরা বোঝাতে পারিনি, এটা প্রাতিষ্ঠানিক খুন। এটা ধর্ষণের মোটিভ ছিল না, খুন করাই ছিল মোটিভ। হাসপাতালে জাল ওষুধের দুর্নীতি সে জেনে ফেলেছিল, এত রোগীর মৃত্যু প্রতিবাদ করেছিল, তাই খুন করা হয়েছে। এটা সিবিআই-কে বারবার বলা সত্ত্বেও, তদন্তের আওতায় আনেনি। এবার হয়তো সিবিআই নড়েচড়ে বসবে।”
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, রাজ্য সরকার এতদিন ফাঁসির সাজা চাইছিল। কিন্তু এবার রাজ্য সরকার বলছে, আদতে কি আইনের প্রভিশন রয়েছে? বিচার শেষ হওয়ার পরে আরও তদন্ত হতে পারে কি না, তা নিয়ে এজলাসে এদিন সংশয় প্রকাশ করেন রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই নিয়ে তিলোত্তমার পরিবারের আইনজীবী শামিম আহমেদ বলেন, “রাজ্য সরকার আসলে চাইছে না যে তদন্তটা হোক, তাই তারা বলছে পুনরায় তদন্ত হলে তাদের কোনও অসুবিধা নেই, কিন্তু আইনের অসুবিধা রয়েছে, এই কথা বলার মাধ্যমে আসলে এটাই বোঝাতে চাইছে তারা। এই মামলার ইতি চাইছ রাজ্য, বিচার চাইছে না। আদালত সিবিআই-এর কাছে জানতে চেয়েছে, যে ইস্যুগুলো উঠে এসেছে, গণধর্ষণের অভিযোগ-সহ, সেগুলো তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হয়েছে কিনা।”
আপাতত এই মামলায় সিবিআই-এর কাছে কেয় ডায়েরি তলব করেছে হাইকোর্ট। তদন্ত এখন কোন পর্যায়ে দাঁড়িয়ে, গণধর্ষণ না তথ্য প্রমাণ নষ্ট, সিবিআই-কে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। সিবিআই-এর কাছে কেস ডায়েরি তলব করেছেন।





