কলকাতা: আরজিকরে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বিতর্ক। থমকে ক্যানসার গবেষণা। TV9 বাংলার খবরের জের। সোমবার TV9 বাংলার তরফে এই খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পরই মঙ্গলবার আরজি করে বৈঠক করে রোগী কল্যাণ সমিতি। জরুরি বৈঠক তলব রেডিওথেরাপি বিভাগেরও। নথি কীভাবে টিভি নাইনের হাতে? ‘চাপে’ পড়ে অন্য তদন্তে আরজিকর কর্তৃপক্ষ। আরজি কর হাসপাতালে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হবে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। অধ্যক্ষের নেতৃত্বে গঠিত হয় কমিটি।
বিতর্কের সূত্রপাত হয়, কেন ১৫ মাস ধরে আরজি কর হাসপাতালে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ক্ষেত্রে সই করছিলেন অধ্যক্ষ? TV9 বাংলায় এই খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পরই শেষমেশ মৌনতা ভাঙে কর্তৃপক্ষ। অধ্যক্ষ এবার জানালেন, আদৌ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের কোনও প্রয়োজন রয়েছে কিনা, তা জানতে একটি কমিটি গঠন করা হবে এবং তা তাঁর নেতৃত্বেই হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, যে ওষুধগুলির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে, সেগুলি অন্য কোম্পানির ওষুধ এবং তা সরকারি তালিকায় রয়েছে। তাই এই ওষুধগুলির ট্রায়াল আলাদা করে রোগীদের কোনও বাড়তি সুবিধা দেবে না বলেই মনে করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে উল্লেখ্য, এই ওষুধগুলিরই আবার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এসএসকেএম, এনআরএসেও হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আরজিকর কেন ব্যতিক্রম? সেক্ষেত্রে আরজিকর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, সেটা অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজের সিদ্ধান্ত। কিন্তু আরজিকর এই ভাবনা ভেবেছে। সেই পথেই এগোচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায় বলেন, “মাল্টি ন্যাশনাল ওষুধের কোম্পানির ড্রাগটার ইতিমধ্যেই জোগান রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই সমস্ত ওষুধই বিনামূল্যে পাওয়া যায়। সুতরাং কোনটার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হবে না হবে, সেটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঠিক করবে। একটি কমিটি হবে, তারাই ঠিক করবে ড্রাগ ট্রায়াল হবে কিনা, প্রিন্সিপ্যালের ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”