কলকাতা: পরের বছরেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। ঘটনার রাতে শেষবার দশটার সময়ে তিলোত্তমার গলা শুনেছিলেন তিনি। তারপর আর নয়, ফোন আর ধরেননি। দশটার সময়ে যখন কথা হয়েছিল, তিলোত্তমা তাঁর বিশেষ বন্ধুকে জানিয়েছিলেন ‘ব্যস্ত রয়েছি, একটু পরে ফোন করছি।’ কিন্তু সেই ফোনটা আর আসেনি। এতদিন কথা বলার মতো পরিস্থিতিতেই ছিলেন না তিনি। আজ TV9 বাংলার প্রতিনিধির ফোনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিলোত্তমার বিশেষ বন্ধু। কিন্তু বিশেষ বন্ধুর কথায় উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য। তাঁর কথায়, ঘৃণ্য আশু বিপদের আঁচ করেছিলেন ‘তিলোত্তমা’।
তিনি বললেন, “আমি রাত দশটায় ফোন করেছিলাম, আমাকে বলল, একটু ব্যস্ত আছি, পরে ফোন করছি। সাধারণত রাতে ফোন করে। কিন্তু সেই রাতে আর করেনি। সকাল ৯টার সময়ে আমি তখন হাসপাতালে, নিজের কর্মস্থলে ব্যস্ত ছিলাম। তখনও দু’বার ফোন করেছিলাম। ধরেনি। তারপর মেসেজ পাঠাই। তখনও নেই। আমি তো দুঃস্বপ্নের শেষ পর্যায়ে গিয়েও কখনও এই ঘটনা ভাবতে পারিনি। স্বপ্নের শেষ।” ফোনেই গলা ধরে এল তিলোত্তমার বিশেষ বন্ধুর। সামনের বছরেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তিলোত্তমার। কিন্তু তার আগেই সব শেষ। তিলোত্তমার বিশেষ বন্ধু জানালেন, ঘৃণ্য আশু বিপদের আঁচ হয়তো আগেই করতে পেরেছিলেন তিলোত্তমা। আগে নাইট ডিউটি করতেন। কিন্তু সম্প্রতি নাইট ডিউটি করতে চাইতেন না তিলোত্তমা।
বৃহস্পতিবার রাতেই ঘটে যায় অনর্থ। রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে সেই ভয়াবহ ঘটনার রেশ পৌঁছেছে দেশ। কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন দেশের চিকিৎসকরা। অভিযুক্ত কিংবা অভিযুক্তদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিলোত্তমার বিশেষ বন্ধু। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার পুলিশের হাতে বেশ কিছু তথ্য এসেছে। ঘটনার রাতে তিলোত্তমার সঙ্গে ডিনার করেছিলেন চার সহকর্মী। সেই চার ডাক্তারকেও ইতিমধ্যে নোটিস পাঠিয়েছে লালবাজার। এই ঘটনায় একাধিক জন জড়িত কিনা, সেই বিষয়টা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)