কলকাতা: রাহুল গান্ধীকে পরপর তিনদিন জেরা করা হয়েছে ইডি দফতরে। শুক্রবার চতুর্থবারের জন্য তলব করা হয়েছে তাঁকে। কংগ্রেস সাংসদকে এ ভাবে জেরা করার ঘটনার নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, বুধবার দিল্লিতে বিরোধীদের বৈঠকে মমতা নিন্দা করেছেন। সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে যে ভাবে তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই, সেই ঘটনার সঙ্গেও রাহুলের জেরার তুলনা করেছেন মমতা। অন্যদিকে, তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, অভিষেককে তলব করার সময় তো পাশে ছিল না কংগ্রেস!
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে যখন ইডি তলব করেছিল, তখন কংগ্রেসের বক্তব্য ছিল, ‘আইন আইনের পথে চলবে।’ কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর বক্তব্যও একই ছিল। তাই কুণালের প্রশ্ন, রাহুলের ক্ষেত্রে কংগ্রেসের অবস্থান কেন একই হবে না?
তবে অভিষেকের সঙ্গে রাহুলের তুলনা মানতে নারাজ কংগ্রেস। ত্রিপুরার কংগ্রেস নেতা বীরাজিৎ সিনহার দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত, তাঁর সঙ্গে রাহুল গান্ধীর তুলনা করা উচিত নয়। অন্যদিকে, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘অভিষেককে ইডি-র জেরা করার ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছিল সিপিএম আর কংগ্রেস। তাই রাহুল গান্ধীর জেরা নিয়ে দলের কোনও বক্তব্য নেই।’ তাঁর বক্তব্য, অভিষেকের সময় অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, আইন আইনের পথে চলবে। তাই এ ক্ষেত্রে অধীরের উচিত ইডি দফতরে যাওয়ার ক্ষেত্রে রাহুলকে সঙ্গে দেওয়া।
উল্লেখ্য, তিন দিন ধরে টানা মোট ৩০ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস নেতাকে এ ভাবে বারবার তলব করায় দেশ জুড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। বারবার তলব করার কারণে যে মানসিক চাপ তৈরি হয়েছে, তা কমাতে একদিনের বিরতি চেয়েছেন রাহুল। তাঁর সেই দাবি মেনেই বৃহস্পতিবার আর ডাকা হয়নি তাঁকে। বদলে শুক্রবার ফের জেরার জন্য তলব করা হয়েছে রাহুল গান্ধীকে।