কলকাতা: বিধাননগর স্টেশন থেকে অনুমতিহীন দোকান তুলে দেওয়ার জন্য এবার মাইকিং করছে রেল। বিশেষত ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে কোনও অনুমতিহীন দোকান চালানো যাবে না বলেই ঘোষণা চলছে। তারই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সরব হন অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের একাংশ।
অনেকেই আছেন, যাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে এই প্ল্যাটফর্মগুলিতে দোকান দেন। তা খাবারের দোকান, চায়ের স্টল কিংবা অন্যান্য জিনিস। রেলের তরফে কোনও অনুমতি না থাকলে ব্যবসা করেন তাঁরা। এবার রেল সেইসব দোকান তুলে দিতে চাইছে বলে দাবি দোকানিদের একাংশের। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার কিছুটা তপ্তও হয় স্টেশনচত্বর।
দিনভরই প্রায় ব্যস্ত বিধাননগর স্টেশন। শুধু প্ল্যাটফর্ম নয়, সাবওয়েতেও ঠাসা ভিড় অফিস টাইমে। তা অফিস যাওয়ার সময় হোক বা ফেরার সময়। সম্প্রতি এই ভিড় ও জায়গার অভাব নিয়ে বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা। সঙ্কীর্ণ প্ল্যাটফর্মে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রোজই বাড়তে বলে সরব হন তাঁরা।
এরইমধ্যে গত ২ ফেব্রুয়ারি বিধাননগর স্টেশনে একইসঙ্গে আপ দত্তপুকুর লোকাল, বজবজ নৈহাটি, আপ বনগাঁ লোকালের ঘোষণা করা হয়। যাত্রীরা রীতিমতো ছুটোছুটি শুরু করেন। তিনটি ট্রেনের এত যাত্রী। হুড়মুড়িয়ে প্ল্যাটফর্মে ঢুকতে গিয়ে পদপিষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়। এরপরই যাত্রীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এরপর বৃহস্পতিবার শোনা গেল রেলের এমন ঘোষণা।
এক দোকানি স্পষ্ট জানান, তিনি দোকান তুলবেন না। বলেন, “লাথি মারবে বললেই কি আর লাথি মারতে পারবে? আমাদের চাকরি দিক তবে। চাকরি দেবে তারপর উঠব। চাকরি দেবে না, ওঠাতেও পারবে না। আমাদের চাকরি না দিয়ে তুলে দিলে খাব কী আমরা? একটা পরিবারে কম করে চারজন তো আছে। মরব নাকি সবাই মিলে? ইউনিয়নও বলে দিয়েছে, চাকরি দাও উঠে যাব।”