সৌভিক সরকার, সিজার মণ্ডল, সুশোভন ভট্টাচার্য ও অরিত্র ঘোষ
কলকাতা: অস্বাভাবিক মৃত্যু স্কুল পড়ুয়ার। স্কুলের ছ’তলার ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু। মৃত পড়ুয়া দশম শ্রেণির ছাত্র। পরিবারের অভিযোগ, প্রজেক্ট জমা দিতে না পারার কারণে মানসিক চাপ দেওয়া হচ্ছিল স্কুলের তরফে থেকে। ছাত্রের বাবার দাবি, করোনার পর স্কুলের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। সেই কারণেই চরম মাশুল দিতে হল তাঁদের ছেলেকে।
মৃত পড়ুয়া কসবার রথতলা সিলভার পয়েন্ট হাইস্কুলের দশম শ্রেণিতে পড়ত। বাড়ি কসবায়। এ দিন দুপুর নাগাদ আচমকাই ছ’তলার থেকে পড়ে যায় সে। মুখ কান নাক থেকে গলগল করে রক্ত বের হতে শুরু করে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে কলকাতার নামী বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। সূত্রের খবর, এ দিন ছ’তলায় স্টাফ রুমে শিক্ষকের সঙ্গে প্রজেক্টের ব্যাপারে কথা বলতে যায় নাবালক। এরপরই ছ’তলা থেকে লাফ দেয় সে। প্রশ্ন উঠছে স্টাফ রুমের নজর এড়িয়ে কী ভাবে লাফ দিতে পারে? অপরদিকে, পুলিশ সূত্রে খবর, স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে ছেলেটি সিঁড়ি দিয়ে একাই উপরে গিয়েছে।
ওই স্কুলের অধ্যক্ষ সুচরিতা রায়চৌধুরী বলেন, “আমি একটা ঘটনা শুনেছি। স্কুলের একটি পড়ুয়া দেখি পড়ে গিয়েছে। মানসিক কোনও চাপের মধ্যে ছিল কি না জানি না। তবে স্কুলের তরফে কোনও চাপ দেওয়া হয় না। আজ প্রজেক্ট জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। ওর প্রজেক্ট হয়ত অসম্পূর্ণ ছিল বা জমা দেয়নি সেটা দেখতে হবে।” মৃতের মাসি বলেন, “ওকে অনেকদিন ধরেই স্কুলে অত্যাচার করা হচ্ছিল। ওরা তো ছোট। হয়ত হোম-ওয়ার্ক করত না। সেই সময় শিশুকে একা পেয়ে অত্যাচার করত। ওর স্কুলের বন্ধু পর্যন্ত বলেছে তাঁর সামনে থেকেই নাকি পাঁচতলায় নিয়ে গিয়েছে। স্কুল বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।”